বৃহস্পতিবার , ১ জুন ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

মানবতাবিরোধী অপরাধ হবিগঞ্জের ২ আসামির পক্ষে তালিকা ছাড়া সাক্ষ্য নেননি ট্রাইব্যুনাল

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জুন ১, ২০২৩ ৪:০৩ পূর্বাহ্ণ

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় হবিগঞ্জের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ মিয়াসহ দুজনের বিষয়ে আসামিপক্ষের তালিকা ছাড়া সাফাই সাক্ষী গ্রহণ করেননি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

গতকাল বুধবার এ মামলায় চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য ছিল। এদিন আসামির পক্ষে আদালতে জমা দেওয়া সাক্ষীর তালিকার বাইরে থেকে একজনকে নিয়ে এলে আদালত তার সাক্ষ্য নেননি। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১২ জুলাই দিন ঠিক করেন আদালত।

আসামিরা হলেন- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজানাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপ মিয়া (৬৬) এবং মো. জামাল উদ্দিন আহম্মদ ওরফে মো. জামাল উদ্দিন (৬৫) ।

এর আগে এ মামলায় আসামিপক্ষের আরও তিন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার চতুর্থ সাক্ষীর সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল।

প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

বুধবার (৩১ মে) সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত দিনে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ট্রাইব্যুনালের অন্যতম সিনিয়র প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সৈয়দ হায়দার আলী। তার সঙ্গে ছিলেন রেজিয়া সুলতানা চমন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার ও গাজী এমএইচ তামিম।

প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় মোট আসামি ছিলেন তিনজন। এরমধ্যে গিয়াস উদ্দিন নামের এক আসামি মারা গেছেন। বাকি দুজন গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ (আইও) রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তবে আসামিপক্ষে সাফাই ডিফেন্সের একজন সাক্ষী তার জবানবিন্দ পেশ করেছেন। এ বিষয়ে আরও ডিফেন্স সাক্ষীর জবানবন্দি পেশ করা হবে কি না, তা আগামী জুলাই মাসে জানা যাবে।

২০১৮ সালের ১৩ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে তাদের বিচারকাজ শুরু করা হয়। পরে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আনা সাক্ষীদের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ প্রসিকিউটরের আনা মোট ১১ জন সাক্ষী তাদের জবানবন্দি পেশ করেন।

২০১৮ সালের ৮ মার্চ আবুল খায়ের গোলাপ মিয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে তা প্রকাশ করে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৭ জনকে হত্যা, ৬ নারীকে ধর্ষণ, ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ৩০ জনকে অপহরণ-নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়। পাঁচটি অভিযোগে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ এ মামলার মোট সাক্ষী ২৩ জন।

সর্বশেষ - সারাদেশ