জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনায় দায়ী কে, এ প্রশ্নের জবাব মেলে না। নগর জীবনে সেবা সুবিধাকে আরও নিরাপদ ও নির্ভার করতে হলে প্রয়োজন আপদ ও দুর্যোগের ঝুঁকি এবং অনিশ্চিত ভীতি থেকে মুক্তি।
রোববার (৪ জুন) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত ‘অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণজনিত দুর্ঘটনা: নাগরিকের মানবাধিকার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনাগুলোতে স্থানীয় অধিবাসীদের জীবনের ঝুঁকি প্রত্যক্ষ করেছে দেশবাসী। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনও ওয়াচডগের ভূমিকায় প্রত্যক্ষ করেছে সব কয়টি ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, এসব ঘটনায় শুধু মৃতের সংখ্যাই কমিশনের কাছে মুখ্য নয়, প্রতিটি মৃত মানুষের পরিবারের নিদারুণ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা কমিশনকে তাড়িত করে।
তিনি বলেন, জীবিতদের মানবাধিকার নিশ্চিত রাখা, তাদের জীবন ও কর্মের অধিকারে যেন বিঘ্ন না ঘটে সেটিও কমিশনের অন্যতম বিবেচ্য; কমিশনের আইনি এখতিয়ারও সেটি। ২০০৯ সালের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইনে কমিশনকে সে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।।
কমিশনের পক্ষ থেকে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার বিষয়টি আরও স্পষ্ট করার তাগিদ জানিয়ে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, নাগরিকের জীবনযাপনকে নিরাপদ করতে রাষ্ট্র কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বিশেষায়িত সংস্থাসমূহের মূল দায়িত্ব হলো নিয়মিত পরিদর্শন, রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকির মাধ্যমে নাগরিক জীবনকে নিরাপদ ও নির্ভার করা।