ভারতের ওডিশা রাজ্যের মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেছেন, বালাসোরে ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত মানুষের সংখ্যা লুকানোর কোনো ইচ্ছা তাঁর সরকারের নেই। উদ্ধার তৎপরতা সম্পূর্ণভাবে জনসমক্ষে চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওডিশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত মানুষের সংখ্যা নিয়ে গরমিল করা হচ্ছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জেনা বলেন, ‘ওডিশা স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী।’ সবকিছু গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনেই হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওডিশা ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২৮৮ বলে এএফপিকে জানায় সেখানকার ফায়ার সার্ভিস। পরে রেল কর্তৃপক্ষও মৃত মানুষের সংখ্যা ২৮৮ বলে জানিয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছিল বলে জানান জেনা। তবে বালাসোর জেলা কালেক্টর গতকাল রোববার সকাল ১০টা নাগাদ গণনা করে দেখেছে, মৃত মানুষের সংখ্যা ২৭৫ ছিল।
ভারতে কেন বারবার ট্রেন লাইনচ্যুত হচ্ছে

মৃত মানুষের সংখ্যায় পরিবর্তন প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে জেনা বলেন, কোনো কোনো মৃতদেহ দুবার গণনা করা হয়েছে।
মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা বলেছেন, দুর্ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীদের প্রবেশের ক্ষেত্রেও কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। সম্পূর্ণভাবে জনসমক্ষে উদ্ধার তৎপরতা এবং উদ্ধারপরবর্তী কার্যক্রম চলছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত মানুষের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় তাঁর রাজ্যের ৬১ জন বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। ১৮২ জন এখনো নিখোঁজ।
সে তথ্য উল্লেখ করে এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা বলেন, ‘যদি এক রাজ্যেরই ১৮২ জন বাসিন্দা নিখোঁজ এবং ৬১ জন নিহত হয়ে থাকেন, তাহলে মোট সংখ্যা কোথায় গিয়ে ঠেকছে?’
করমন্ডল এক্সপ্রেসের দোষ ছিল না, ক্ষয়ক্ষতি বেশি মালবাহী ট্রেনের কারণে

মুখ্য সচিব জেনার তথ্যমতে, ২৭৫টি মৃতদেহের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ১০৮ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। রাজ্য কর্তৃপক্ষ সব কটি মরদেহ শনাক্ত করতে চাইছে, যেন তাদের পরিবারের সদস্যরা মরদেহগুলোর সৎকার করতে পারে।
গরমের কারণে মৃতদেহগুলো দ্রুত পচে যাচ্ছে উল্লেখ করে জেনা বলেন, রাজ্য কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ দুই দিন অপেক্ষা করতে পারবে। এর পর আইন অনুযায়ী লাশগুলোর সৎকার করা হবে।