ক্রিকেটের সবচেয়ে পুরোনো ফরম্যাট হলো টেস্ট। টি-টোয়েন্টির যুগেও টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে আলাদা একটা আগ্রহ রয়েই গেছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিদিন ৩টি সেশন হয়। যার মধ্যে লাঞ্চ বিরতি ও চা বিরতি থাকে। চা-বিরতি না হয় আন্দাজ করা গেলো, টুকটাক চা বিস্কুট। কিন্তু অনেকের মনেই একটা বড় প্রশ্ন ঘুরপাক খায়, লাঞ্চের সময় আসলে কী খান ক্রিকেটাররা?
টেস্ট ক্রিকেটে বিভিন্ন বিরতির মধ্যে লাঞ্চ ব্রেক সবচেয়ে বেশি সময়ের হয়ে থাকে। টেস্টে দিনের প্রথম সেশনে ২ ঘণ্টা মাঠে কাটানোর পর ক্রিকেটাররা ৪০ মিনিটের লাঞ্চ ব্রেক পান। এই লাঞ্চ ব্রেকে তারা কি ভরপেটে খান? সেটা হলে কিভাবে তারা মাঠের মধ্যে দৌড়ঝাঁপ করেন?
এটা ঠিক, মধ্যাহ্নভোজনের বিরতিতে ক্রিকেটারদের জন্য একাধিক লোভনীয় খাবার থাকে। টেবিলে থরে থরে সাজানো সেই সকল খাবার পছন্দমতো খান ক্রিকেটাররা। তবে এই পরিস্থিতিতে মন না, মস্তিস্কের কথাই মানেন ক্রিকেটাররা। কারণ লাঞ্চ টেবিলে পুষ্টিকর খাবারের তালিকাটাও নেহায়েত কম থাকে না। তাই সেদিকেই বেশি ঝোঁকেন ক্রিকেটাররা।
আসলে লাঞ্চ বিরতিতে কোনও ক্রিকেটারই ভরপেট খান না। তারা নজর দেন তাদের জন্য কোন খাবার বিশেষ প্রয়োজন তাতে।
লাঞ্চে পাস্তা থেকে আইসক্রিম সব থাকে মেন্যুতে
টেস্ট ক্রিকেটে মধ্যাহ্নভোজনের জন্য মেন্যুতে রোস্টেড মাংস, রুটি, পাস্তা, ফিস ফ্রাই, মুরগির মাংস, ভাত, প্রোটিন বার, স্পোর্টস ড্রিংকস, আইসক্রিম, চকলেট, কফি, ফলের স্যালাড, কলা, স্যুপ, গ্রিন স্যালাড, বিভিন্ন সবজি, ড্রাইফ্রুটস ও বিভিন্ন মিষ্টি থাকে।
সাধারণত ক্রিকেটাররা ভারি খাবার এড়িয়ে যান
মধ্যাহ্নভোজের মেন্যু লম্বা হলেও ক্রিকেটাররা কী খাবেন, তা তারা নিজেরা পছন্দ করেন। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির সময় ক্রিকেটাররা ভারি খাবার এড়িয়ে চলেন।
বেশিরভাগ ক্রিকেটার কলা এবং প্রোটিনবারের মতো সাধারণ কিছু খাবার খান। তারা শক্তি বজায় রাখার জন্য এমনটা করেন। কারণ একটি ভারি দুপুরের খাবার তাদের ২২ গজে স্লো করে দিতে পারে। ফিল্ডাররাও খুব ভারি খাবার খান না। তাহলে তাদের দৌড়াতে অসুবিধা হয়।
অনেক সময় যে দেশে টেস্ট ম্যাচ থাকে, সেখানকার বিশেষ ও জনপ্রিয় খাবারও ক্রিকেটারদের জন্য লাঞ্চে রাখা হয়। সেটা যদি পছন্দসই হয়, তবে ক্রিকেটাররা তাদের প্লেটে নিয়ে থাকেন। তবে কোনোকিছুই ভরপেটে নয়।
সূত্র: টিভি৯