জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে লেখা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের বই কলকাতায় প্রকাশ হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় লেখা এই বইয়ের নাম ‘টুওয়ার্ডস গোল্ডেন বেঙ্গল থট অফ ট্যাগর অ্যান্ড বঙ্গবন্ধু অন ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট।’ বইটি প্রকাশনা করেছে জার্নিম্যান।
কলকাতা প্রেসক্লাবে বইয়ের মোরক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের প্রথম প্রেস সচিব রঞ্জন সেন, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. পবিত্র সরকার, অধ্যাপিকা মানসী ঘোষ এবং কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীস সুর।
বইটিতে শিক্ষা, পরিবেশ এবং কৃষকদের শিল্প ও সংস্কৃতির বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবনা, সক্রিয় সমাজ এবং আজকের বাংলাদেশ সম্পর্কে তার চিন্তাধারার বিষয়গুলো উঠে এসেছে। এছাড়া সোনার বাংলার দিকে বঙ্গবন্ধুর যাত্রা, বাংলাদেশ এবং তার রাজনৈতিক প্রচারণার মূলে অর্থনৈতিক বৈষম্য, জনগণের ভালোবাসা এবং বাংলাদেশ পূর্ণগঠনে মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তার চিন্তাধারা, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য তার অদম্য সমর্থন, নান্দনিক নেতৃত্বসহ বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধির দিকে চলার বিভিন্ন দিক-নির্দেশনার কথা বলা হয়েছে।
এই বইয়ের চিন্তাভাবনা নিয়ে লেখক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালির মধ্যে আমি বহু কিছুতে মিল খুঁজে পাই। তাই দুই শ্রেষ্ঠ বাঙালিকে নিয়ে আমার এই প্রয়াস। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বাংলার জন্য চেন্নাই থেকে যেমন ধানের বীজ এনেছিলেন, সিন্ধু থেকে গাভি এনেছিলেন তেমনি বঙ্গবন্ধু এ ধরনের সূত্র নিয়ে বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি এবং আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন সমবায়ের পক্ষে ছিলেন রবীন্দ্রনাথও সমবায়ের পক্ষে ছিলেন। দুজনের মধ্যেই আমি যেসব মিল খুঁজে পেয়েছি তাই এই বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে।
অধ্যাপক পবিত্র সরকার বলেছেন, গোল্ডেন বেঙ্গল নতুন ইংরেজি বইয়ে বঙ্গবন্ধুর যে স্বদেশ চেতনা, স্বদেশের উন্নয়নের চিন্তা তার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের স্বদেশ ভাবনার মিল রয়েছে। এই দুই বাঙালির কেন্দ্রের মূল ভূমিকা ছিল মানুষের জন্য কাজ করা। সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য অবিরাম সংগ্ৰাম করা। তাই এই বইটি একটি নথি হতে পারে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওপর অনন্য কাজের জন্য পরিচিত ডা. আতিউর রহমান। তিনি ইংরেজি ও বাংলায় ৭০টির বেশি বই প্রকাশ করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তার অসংখ্য গবেষণাপত্র প্রকাশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে তিনি জাতির পিতার জীবন এবং তার অন্তর্ভুক্তমূলক উন্নয়ন দর্শনের উপর বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ করেছেন।