ফেসবুক প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষ হয়তো ডর্ম-রুমের ঘটনাটি জানেন। কিন্তু খোদ মার্ক জুকারবার্গই বলছেন, এই ঘটনা থেকে আপনি হয়তো ভুল শিক্ষাই পেয়েছেন।
সম্প্রতি এমআইটি’র কম্পিউটার বিজ্ঞানী লেক্স ফ্রিডম্যানের উপস্থাপনায় ‘লেক্স ফ্রিডম্যান পডকাস্ট’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন জুকারবার্গ। সেখানে তিনি জানান, ২০০৪ সালে তার ফেসবুক প্রতিষ্ঠার কারণ কলেজ ড্রপআউট হওয়া কিংবা অন্য শখ-আহ্লাদগুলো বাদ দেওয়া নয়, বরং স্কুলজীবনে তিনি যে ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো তৈরি করেছিলেন, তার কারণেই সম্ভবত বিশাল এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম চালু করা সম্ভব হয়েছিল।
মেটা সিইও বলেন, কলেজে কার সঙ্গে সময় কাটাবেন, ক্যাম্পাস জীবনে যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আপনি যাদের সঙ্গে থাকবেন, তাদের মতোই হয়ে উঠবেন। আমি মনে করি, মানুষ সাধারণত খুব বেশি উদ্দেশ্যকেন্দ্রিক এবং সম্ভবত যোগাযোগ ও সম্পর্ক তৈরির ওপর যথেষ্ট মনোযোগ দেয় না।
মার্ক জুকারবার্গের পাশাপাশি ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এডুয়ার্ডো সাভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিটজ, ক্রিস হিউজ এবং অ্যান্ড্রু ম্যাককলাম। ২০০০’র দশকের শুরুর দিকে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াকালীন তাদের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল জুকারবার্গের। ঘটনাক্রমে তাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফেসবুক, যা আজ বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম প্রযুক্তি কোম্পানি।
যদিও পরে সেই বন্ধুত্ব ভেঙে যায়। তবু পডকাস্টে জুকারবার্গ বলেছেন, তিনি আজও উদ্দেশ্যর চেয়ে সম্পর্ককে অগ্রাধিকার দেওয়ার চেষ্টা করেন, বিশেষ করে নিয়োগের ক্ষেত্রে।
তিনি বলেন, একজন চাকরিপ্রার্থীকে মূল্যায়নের সময় তিনি কল্পনা করেন, তার বস হওয়ার পরিবর্তে সেই ব্যক্তির অধীনে কাজ করা কেমন হবে। ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা বলেন, আমি কেবল তাকেই নিয়োগ দেই, যার অধীনে নিজেকে কাজ করতে দেখতে পারি।
জুকারবার্গ বলেন, এই কৌশলটি এমন একটি কাজের পরিবেশ তৈরি করে, যা আরও সুসংহত ও উত্পাদনশীল। আপনি যদি এমন লোকদের সঙ্গে কাজ করেন যারা মানবিক স্তরে আপনার মূল্যবোধ ভাগাভাগি করে নেন, তাহলে আপনার কাজের লক্ষ্য অর্জন সহজ হয়ে যাবে। এটি ব্যক্তিগত সামঞ্জস্য খোঁজার বিষয়, অনেকটা বন্ধু বা অংশীদার নির্বাচনের মতো।
সূত্র: সিএনবিসি