বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, আমরা মানুষকে ইজ্জত দিতে জানি। বিএনপি মানুষকে শ্রদ্ধা করে। আর আওয়ামী লীগ জনগণকে কৃতদাস মনে করে। এই দেশে যারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে, তারাই তো সভ্যতায় বিশ্বাসী। আপনাদের মুখ থেকেই আজেবাজে কথা বের হয়। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সম্পর্কে বাজে কথা, ঘৃণ্য কথা বলেন আপনারা। আমরা এখনও বন্দী। আমরা বাইরে থাকলেও বন্দী, আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই।
তিনি বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। তারা আমাদের সংস্কৃতি শিখাতে চায়। তাদের সংস্কৃতি তো হত্যার রাজনীতি, গুম খুনের রাজনীতি, টকশোতেও আক্রমণের রাজনীতি। গণতন্ত্র নয়, মূলত তারা কাউয়া সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার এবং শেখ রবিউল আলমের মুক্তির দাবিতে শনিবার দুপুরে এক বিক্ষোভ মিছিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল মোড়, ফকিরাপুল মোড় হয়ে পুনরায় নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে আরও অংশ নেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ড. রফিকুল ইসলাম, এ্যাব এর সভাপতি ইন্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ড. জাহিদুল কবির, কেন্দ্রীয় যুবদলের যোগাযোগ সম্পাদক গিয়াস উদ্দীন মামুন, বিএনপি নেতা জাকির হোসেন, আরিফুর রহমান নাদিম, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওসার, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মিলাদ উদ্দীন ভুইয়া, ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. আউয়াল, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের পূর্বের আহ্বায়ক শেখ খালিদ হাসান জ্যাকিসহ কয়েকশ নেতা-কর্মী।