সরকার পতনের এক দফায় এসে বিএনপি যে দেশব্যাপী দুই দিনের পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তাতে হতাশ দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, চূড়ান্ত পর্যায়ের সরকার পতনের আন্দোলনে কঠোর কর্মসূচি প্রত্যাশা ছিল। প্রত্যাশিত কর্মসূচি দল ঘোষণা করতে পারেনি।
দলীয় সূত্রমতে, অনেকটা তড়িঘড়ি করে পশ্চিমা কূটনীতিকদের নির্দলীয় সরকারের দাবির পক্ষে জোরালো জনসমর্থন দেখাতে এ সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। যে কারণে সরকার পতন আন্দোলনের সিরিজ কর্মসূচি চূড়ান্ত করা সম্ভব হয়নি। এজন্য প্রাথমিকভাবে পদযাত্রা কর্মসূচি দেওয়া হয়।
দলটি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যে তার প্রতিফলন দেখা যায়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ঘোষিত কর্মসূচিকে প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, মাত্র দুই দিনের নোটিশে আমরা এ সমাবেশ করছি। সামনে নেতাকর্মীদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সমাবেশের সভাপতির বক্তব্য ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান বলেন, ‘আগামী দু-এক মাসের মধ্যে সরকারের পতন হবে।’
এ দিকে নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ছিল কঠোর কর্মসূচির। কিন্তু দলের ঘোষিত কর্মসূচিতে তাদের কন্ঠে হতাশার সুর। এ হতাশার কারণে আগামী পদযাত্রা কর্মসূচি সুপার ফ্লপ হতে পারে বলে ধারণা একাংশের।
রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রত্যাশা ছিল সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন কর্মসূচি হিসেবে হরতাল অবরোধ ঘেরাওর মতো কর্মসূচি। কিন্তু দল মনে করছে হয়তো এখনই এসব কর্মসূচির জন্য ঠিক সময় নয়। সামনে নিশ্চয়ই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনম সাইফুল ইসলাম বলেন, যদি মাঠের চিত্র অনুযায়ী বলি, তাহলে বলবো-নেতাকর্মীরা এখন কঠোর কঠিন কর্মসূচি খুঁজছে। আগে কর্মীদের মোবাইলে কল করে পাওয়া যেত না এখন কর্মীরা নেতাদের খোঁজে কর্মসূচির জন্য।’
বৃষ্টি উপেক্ষা করে শরীরের ঘাম শুকিয়ে দলের নেতা কর্মী সাধারণ মানুষ সমাবেশে অংশ নিয়ে, অবস্থান করে সমাবেশ সফল করেছে। এ সমাবেশের মধ্যে একটা বার্তা স্পষ্ট ঢাকার মানুষ আগের চেয়ে অনেক সাহসী এবং শক্তিশালী হয়েছে।