সোমবার , ৭ আগস্ট ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

চকরিয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত, দেয়াল চাপায় ২ শিশুর মৃত্যু

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
আগস্ট ৭, ২০২৩ ৫:৫২ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় টানা ৫ দিনের ভারী বৃষ্টিতে মাতামুহুরী নদীর বন্যার পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপর্যস্থ  হয়ে পড়েছে জনজীবন। নদীর দুই কূলবর্তী ইউনিয়নের অন্তত দুই লাখ মানুষ বন্যার পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজ ও মসজিদ মাদ্রাসা। সাধারণ মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে সাইক্লোন শেল্টার ও স্কুল এর বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নিয়েছে। একইভাবে গৃহপালিত গরু-ছাগল নিয়ে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা এই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে একটি পৌরসভা ও ১৮টি ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা। ১৮ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা বলেছেন, ইউনিয়নের নিন্মাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে। অনেক লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেনা। উপজেলা প্রশাসন ও  স্থানীয়ভাবে  মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলা হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টার ও নিরাপদে আশ্রয় নেয়া লোকজনকে শুকনো খাবার ছিড়া, গুড় ও পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। সকালে লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের হাজী পাড়ায় লাকড়ি ধারতে গিয়ে শাহ আলম (৩৫) নামে এক যুবক নিখোঁজ রয়েছে। একইভাবে বরইতলী ইউনিয়নে মাটির দেয়াল ধ্বসে দুই শিশু তাবাস্সুম (১) ও মো. সাবিদ (৫) নামে ভাইবোন নিহত হয়েছেন।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীরবর্তী ইউনিয়ন সুরাজপুর-মানিকপুর, কাকারা, কৈয়ারবিল, চকরিয়া পৌরসভা, পূর্ব বড় ভেওলা, কোনাখালী, বরইতলী. বদরখালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকায় কৃষকদের সবজি খেত ও বীজতলা পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে চকরিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড বেড়িবাঁধ ভাঙ্গার উপক্রম হয়েছে। এটি ভেঙ্গে গেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া চিংড়িঘের ও মৎস্য খামারগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চাষীদের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনকে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর একটি চিকিৎসক দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের যে কোন পরিস্তিতি মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য বলা হয়েছে।

সর্বশেষ - সারাদেশ