সোমবার , ১৪ আগস্ট ২০২৩ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের তিন বছরের কারাদণ্ড

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
আগস্ট ১৪, ২০২৩ ৬:১২ পূর্বাহ্ণ

মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের তিন বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন।

সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ -২ এর বিচারক মো.আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মহাসচিব শাহ আলম চৌধুরীকে খালাস দেন। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

দুদকের আইনজীবী মীর আহম্মেদ সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খালেদা জিয়ার সরকারের প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ান বর্তমানে অলি আহমদ নেতৃত্বাধীন এলডিপির মহাসচিবের পদে রয়েছেন। রেদওয়ান আহমদ পলাতক রয়েছেন। আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলায় অভিযোগে বলা হয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হাট-বাজার থেকে প্রতি বছর যে টাকা মন্ত্রণালয় পায় তার ৪ ভাগ টাকা দুস্থ ও বেকার মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তার জন্য মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলকে দেওয়া হয়, যার পরিমাণ প্রায় ৫ কোটি টাকা। এই টাকা জমা রাখার জন্য সোনালী ব্যাংক মগবাজার শাখায় একটি হিসাব রয়েছে।

২০০২ সালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান রেদোয়ান আহমেদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অর্থসচিব শাহ আলম এই অর্থের জিম্মাদার হিসেবে বহাল থাকাবস্থায় ওই হিসাব থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।

২০০৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম রমনা থানায় মামলাটি করেন। তদন্তের পর ২০০৭ সালের ৮ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক মোহা. আবুল হোসেন আসামি রেদোয়ান ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আদালতে মামলাটির অভিযোগপত্র জমা হওয়ার পর আসামি রেদোয়ান আহমদের পক্ষে মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ২০০৭ সালে একটি রিট আবেদন করা হয়েছিল। ২০১০ সালের ২৫ অক্টোবর হাইকোর্ট ওই আবেদন খারিজ করে দেন।

হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের আবেদনও আপিল বিভাগ ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর খারিজ করে দেন। ওই রায় পর্যালোচনার জন্য আপিল বিভাগে ২০১৬ সালে রিভিউ আবেদন করেন রেদোয়ান।আপিল বিভাগ উচ্চ আদালতের আদেশ বহাল রাখেন।

সর্বশেষ - সারাদেশ