ফেনীতে স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচণা মামলায় তার স্বামী আহসান উল্যাহকে (৫০) পাঁচ বছর কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত। বুধবার ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ মো. কায়সার মোশাররফ ইউসুফ এ রায় দেন। একই সাথে আসামির ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। রায় প্রদানের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আহসান উল্যাহ ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাতশিরি গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে।
আদালত সূত্র জানায়, এ মামলার ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আসামিকে উক্ত কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করেছেন। চলতি বছরের ২০ জুলাই এ মামলায় সর্বশেষ সাক্ষ্য প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. আনিছুল হক সরকার। ২০১৬ সালে ১৩ জুলাই মামলার বাদী ছায়েরা খাতুন প্রথম সাক্ষ্য প্রদান করেন।
ফেনী জজকোর্টের এপিপি দ্বীজেন্দ্র কুমার কংশ বণিক জানান, দাগনভূঞা উপজেলার বাতশিরি গ্রামের মৃত আনা মিয়ার ছেলে আহসান উল্যাহ তার স্ত্রী খোদেজা বেগমকে নির্যাতন করতো। বারবার তাকে বিষ খেয়ে মারা যাওয়ার জন্য প্ররোচণা করেছিল। পরে ২০১৩ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর খোদেজা বেগম বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় তার বোন ছায়েরা খাতুন বাদী হয়ে আহসান উল্যাহকে আসামি করে পরের দিন আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে ওই বছর ৮ অক্টোবর দাগনভূঞা থানায় মামলাটি গ্রহণ করে। মামলার তদন্তে দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন এসআই মো. আনিছুল হক সরকার। উল্লেখ্য; ২০১৪ সালের ২২ মার্চ আহসান উল্যাহকে অভিযুক্ত করে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে ৬ এপ্রিল আদালত চার্জ গঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করে।