রাজধানীর কদমতলীর জুরাইনে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে বাবা-মায়ের পর দগ্ধ আফসানারও (৫) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (২৩ আগস্ট) সকাল ৮টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত ১৩ আগস্ট দিবাগত রাত ২টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন।
দগ্ধরা হলেন- মো. আতাহার (৩৫), তার স্ত্রী মুক্তা খাতুন (৩০), তাদের মেয়ে আফসানা (৫), মুক্তার বাবা মো. আলতাফ সিকদার (৭২) ও তার মা মোছা. মর্জিনা বেগম (৫০)।
পরে রাত ৩টার দিকে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়। সেখানে আফসারা বাবা ও মায়ের মৃত্যু হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক মো. তরিকুল ইসলাম জানান, আফসানার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে চিকিৎনাধীন অবস্থায় তারা বাবা ও মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে আফসানার নানা-নানিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
জুরাইন সর্দার বাজার সলিমুল্লাহ রোডে মান্নান মাস্টারের বাড়িতে ভাড়া থাকতো পরিবারটি। ওই বাসায় তিতাস লাইনের গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়।