নেপালের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ। শক্তিশালী পাকিস্তানের বিপক্ষে এশিয়া কাপে নবাগত নেপাল। যেখানে নেপালিদের আগ্রহ ছিল পাকিস্তানের মত দলের মুখোমুখি হবে- শুধু এটুকুই। অন্যদিকে পাকিস্তানের আগ্রহ ছিল, কিভাবে এশিয়া কাপে উড়ন্ত একটা সূচনা আনা যায়। প্রতিপক্ষ যেই হোক, জয়টা যদি অনেক বড় হয়, প্রতিপক্ষকে একেবারে বিধ্বস্ত করার মত হয়, তাহলে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস উঠে যাবে তুঙ্গে।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান সে কাজটিই করতে সক্ষম হলো। অধিনায়ক বাবর আজম (১৫১) এবং মিডল অর্ডার ব্যাটার ইফতিখার আহমেদের (১০৯) দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে প্রথমে ৩৪২ রানের বিশাল স্কোর গড়ার পর পাকিস্তান বোলাররা নেপালিদের বেধে ফেললো মাত্র ১০৪ রানে। ২৩.৪ ওভারেই অলআউট নেপাল। পাকিস্তান জয় পেলো ২৩৮ রানের বিশাল ব্যবধানে।
পাকিস্তান এমন একটি জয় পেলো ঠিক ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে। সুতরাং, প্রতিপক্ষ বিবেচনায় নয়, জয়ের বিবেচনায় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের যে এটা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম সেটাই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন। মুলতান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের পর বাবর আজম বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমাদের জন্য এই ম্যাচটা ছিল দারুণ প্রস্তুতিমূলক। এমন একটি জয় আমাদের আত্মবিশ্বাসকে অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলেছে। আমরা চাই প্রতিটি ম্যাচেই নিজেদের শতভাগ ঢেলে দিতে। আশা করছি, আগামীতেও পারবো।’
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর শুরুতেই কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। এটার ব্যখ্যা দিতে গিয়ে অধিনায়ক বাবর বলেন, ‘উইকেটকে যেভাবে মনে করেছিলাম, সেভাবে শুরুতে বল আসছিল না। আমি নিজে যখন ব্যাট করতে নামি, তখন বেশ কয়েকটি বল খেলে ফেলেছিলাম, দেখলাম বল ভালোবাবে ব্যাটে আসছে না। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ছন্দ ফিরে পাই এবং ভালো ব্যাটিং করতে সক্ষম হই। ইফতিখার আসার পরও কিছুক্ষণ সংগ্রাম করেছে। তাকে বলেছিলাম, নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে। এরপর দুই, তিন, চারটা বাউন্ডারি মারার পরই সে বুঝে গেছে কিভাবে ব্যাটিং করতে হবে। সেভাবেই আমরা খেলে গেছি।’
বোলিং নিয়েও বেশ সন্তুষ্ট পাকিস্তান অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমি বোলিং নিয়ে সন্তুষ্ট। প্রথমদিকে বোলারদের কিছু বল আপ টু দ্য মার্ক ছিল না। পেসাররা ভালো শুরু করেছিলো। স্পিনাররা পরে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে।’
নেপাল অদিনায়ক রোহিত পাউডেল বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম। ভেবেছিলাম তাদেরকে ২৪০ রানের মধ্যে বেধে ফেলতে পারবো। কিন্তু মাঝের ওভারগুলোতে গিয়ে বোলাররা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর বাবর আজম তো গ্রেট ব্যাটার। নিজের আসল খেলাটাই খেলেছেন তিনি। পাকিস্তানের অন্যরাও তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলে ম্যাচ বের করে নিয়েছে। এই ম্যাচ থেকে শিখেছি, ডেথ ওভারগুলোতে আমাদেরকে আরও ভালো করতে হবে।’