শুক্রবার , ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

আইন ভাঙলেই জরিমানা, ফ্লাইওভার দেখভাল নিয়ে হাইকোর্ট

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩ ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ

রাজধানীর সব ফ্লাইওভার থেকে দেয়াল লিখন ও পোস্টার অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটে ফ্লাইওভারের দেয়ালে পোস্টারিং ও দেয়াল লিখন বন্ধে তদারকি কমিটি গঠনে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন বাস্তবায়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর সব ফ্লাইওভার থেকে রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক দেয়াল লিখন, ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সঙ্গে সঙ্গে রুলও জারি করেন আদালত। ওই রুলের বিষয়ে শুনানি হয়েছে। ওই রুলের বিষয়ে শুনানি শেষে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্যে ৩০ অক্টোবর তিন ঠিক করেছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

তিনি জানান, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মহানগরকে বসবাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা জরিমানা করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

শুনানিতে উত্তর সিটি করপোরেশনের আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত। কোর্ট এ সময় বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছেন। যদি দেখভালের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট হবে।

দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করে আদালত আরো বলেন, অনেক সময় দেখি হেঁটে হেঁটে ফ্লাইওভার পার হচ্ছেন অনেকে। যে গতিতে গাড়ি ছোটে সেখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

এ সময় আদালত বলেন, যারাই অনিয়ম করবে, আইন ভাঙবে তাদের ওপর অন্য দেশের মতো ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা জরিমানা করতে হবে। তাহলেই আইন লঙ্ঘনকারীরা সোজা হয়ে যাবেন। যেমনটা বিদেশে, অন্যান্য দেশে হয়ে থাকে। সেখানে কেউ আইনভঙ্গ করলে জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়। যার কারণে সবাই আইন মেনে চলেন।

মানবাধিকার সংগঠন হিইম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে জনস্বার্থে রাজধানীর ফ্লাইওভারের সৌন্দর্য রক্ষার বিষয় সংক্রান্ত রিটের শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এমন মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের ক্যান্টনমেন্টের ভেতরের সড়কে চলাচলের সময় সবাই আইন মেনে চলে। যখনই বাইরে আসে তখনই কেউ নিয়ম মেনে চলে না। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করেই সড়কে গাড়িগুলো চলছে। এটার একটা বিহিত করা দরকার। আমাদের ঢাকার অনেক রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি অচল। আবার যেগুলোতে সচল আছে সেখানে লাল বাতি জ্বেলে উঠার পরেও গাড়ি নিয়ে সামনে এগিয়ে যায় চালকরা। কিন্তু বিদেশে দেখুন কীভাবে চালকরা ট্রাফিক সিগন্যাল মেনে চলে। কারণ তারা জানেন সিগন্যাল অমান্য করলে জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। জরিমানা না দিলে সড়কে গাড়ি বের করা যাবে না। এ বিষয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। কিন্তু পদক্ষেপ গ্রহণে খুব অগ্রগতি নেই, তাই এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্যে ৩০ অক্টোবর দিন ঠিক করেছেন আদালত।

বুধবার (৩০ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

মনজিল মোরসেদ জানান, রিটের পর ফ্লাইওভারের পিলারে পোস্টার লাগানো বন্ধসহ সৌন্দর্য রক্ষায় নির্দেশনা দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু এই নির্দেশনার পরও পোস্টার লাগানো বন্ধ করা যায়নি। এই মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানির জন্য ছিলেন আইনজীবী মেজবাহুর রহমান। এইচআরপিবির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

শুনানিতে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, আমাদের নির্দেশ ছিল ফ্লাইওভারে পোস্টার সাটানোকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের। পাশাপাশি ওইসব পোস্টার সরানোরও নির্দেশনা দেওয়া ছিল। কিন্তু আদেশের কার্যকারিতা কোথায়?

এ পর্যায়ে মেজবাহুর রহমান বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় মগবাজার ফ্লাইওভার পড়েছে। এটা আমরা দেখভাল করি। ইতো মধ্যে ফ্লাইওভারের লাইটিং ব্যবস্থা সচলের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ পর্যায়ে বিচারপতি বলেন, শুধু পদক্ষেপ নিলে হবে, দেখভাল করতেও হবে। আর মেয়রের পক্ষে তো মাঠে গিয়ে সবকিছু মনিটর করা সম্ভব নয়। আদালত বলেন, আমি তো মগবাজার ফ্লাইওভার দিয়ে যাতায়াত করি। যাতায়াতের সময় দেখতে পাই বিভিন্নস্থানে ময়লা জমে করে রাখা হয়েছে। এগুলো যাদের পরিষ্কার করার দায়িত্ব তারা করছেন না। এদেরকে যারা মনিটর করবে তারাও নজরদারি করছেন না। যদি মাঠকর্মীদের ওপর নজরদারি থাকতো তাহলে এই শহরে ময়লা পড়ে থাকতো না।

মনজিল মোরসেদ বলেন, পোস্টার লাগানোর অপরাধে জরিমানা করা উচিত। প্রতি পোস্টারের জন্য ১০ টাকা করে জরিমানা করলে যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধ হয়ে যেত।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, এগুলো বন্ধে আইন অনুসরণ করতে হবে। আর কিছুর দরকার নাই। যারাই আইন লঙ্ঘন করবে তাদের জরিমানার আওতায় আনুন দেখবেন সবকিছু নিয়মের মধ্যে চলে আসবে।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরকে বাসযোগ্য করতে হলে সরকারি সংস্থাগুলোকে আইনানুযায়ী ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি সবার সহযোগিতা লাগবে। যারা অবৈধ দখলদার তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নাই।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ফ্লাইওভার নির্মাণ করেছে। যদি দেখভালের অভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে সরকারি সম্পদ বিনষ্ট হবে। এ সময় তিনি বলেন, অনেক সময় দেখি হেঁটে হেঁটে ফ্লাইওভার পার হচ্ছেন অনেকে। যে গতিতে গাড়ি ছোটে সেখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এই হেটে ফ্লাইওভার পারাপার বন্ধ করতে হবে। মেজবাহুর রহমান বলেন, সব কিছু নিয়মের মধ্যে আনতে সময় লাগবে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, গত কয়েকদিন ধরে অসহনীয় যানজট। কীভাবে এই শহরে বাঁচবো। সময় লাগবে বলে যদি বসে থাকেন তাহলে কোনদিনই এসব সমস্যার সমাধান হবে না। কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব বলেন, উত্তর সিটি করপোরেশনের আইনজীবী কোথায়? তাদের কি এসব বিষয়ে মাথাব্যথা নাই।

মেজবাহুর রহমান বলেন, মাথাব্যথা থাকা দরকার। বিচারপতি বলেন, আইনজীবী যদি না থাকে তাহলে তো আদালত অবমাননার রুল ইস্যু করা দরকার। এরপরই হাইকোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ঠিক করেন।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইহসানুল করিমের জানাজা

তাইওয়ানে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৭

রোহিঙ্গাবাহী নৌকা ফিরিয়ে দিলো ইন্দোনেশিয়া

চাকরির ১০ দিন পরই ৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা কর্মচারী

নাগরপুরে বেইলি ব্রিজ ভেঙে যান চলাচল বন্ধ

অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পেটালো ছাত্রলীগ

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বিটিভির আয়োজন

শাহদীন মালিকের উদ্দেশ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টকে ‌ক্যান্টনমেন্টের সঙ্গে তুলনা করে ক্ষতি করছেন

চীনে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কারখানা স্থাপনে বাইডেন প্রশাসনের ‘না’

জুরাইনে গ্যাস বিস্ফোরণ বাবা-মায়ের পর না ফেরার দেশে শিশু আফসানাও