আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বক্তব্যে বিচারপতিরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ বলে মন্তব্য করায় বিএনপি অনুসারী আইনজীবীরা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। যা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল সংবিধানের প্রতি অবজ্ঞা, অবমাননা এবং মূল চেতনার পরিপন্থি বলে মন্তব্য করেছেন বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. অজিউল্লাহ।
বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে তার পদত্যাগ চাওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জাতির জনক বাঙালি জাতিকে একটি সংবিধান উপহার দেন যেটি রাষ্ট্র পরিচালনার মূল রাজনৈতিক দলিল।
‘তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় মূলনীতি, মানবাধিকার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, ন্যায়নীতিবোধ প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়বিচার প্রাপ্তির নিশ্চয়তাসহ স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছেন। জাতির জনকের দেওয়া সংবিধানের অধীনে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে সকল বিচারপতিরা বিচারকার্য পরিচালনা করছেন। তাই তাদের কথা সঠিক।’
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল হলো সংবিধান। একটি রাজনৈতিক দলিল সংবিধান অনুযায়ী বিচারপতিরা সাংবিধানিক রাজনীতির মধ্যেই শপথবদ্ধ হন। সম্প্রতি আপিল বিভাগের দুজন বিচারপতির বক্তব্য নিয়ে উচ্চ আদালতের একটি রাজনৈতিক দলের অনুসারী আইনজীবীরা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন। যা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দলিল সংবিধানের প্রতি অবজ্ঞা, অবমাননা এবং মূল চেতনার পরিপন্থি।
এক্ষেত্রে, সব আইনজীবীদের আইনানুগ দায়িত্ব হলো সংবিধানের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে বিচারপতিদের শপথবদ্ধ কাজের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। বিজ্ঞ বিচারপতিরা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সাংবিধানিক দায়িত্বে শপথের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেছেন যা জাতির জন্য অনুসরণীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নকীব সাইফুল ইসলাম, আইনজীবী নেতা আলতাফ হোসেন আমানী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আলম চৌধুরী এবং বারের কোষাধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ।