রবিবার , ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

ইরাকের কারকুক শহরে কারফিউ জারি

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ৩, ২০২৩ ৪:১২ পূর্বাহ্ণ

ইরাকের কারকুক শহরে কুর্দি ও আরবদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ব্যাপক সংঘর্ষের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই শহরে কারফিউ জারির নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। খবর আল জাজিরার।

সব পক্ষকে সংঘাত প্রতিরোধ এবং কারকুক প্রশাসনের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আল সুদানি। স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক জিয়াদ খালাফ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, গোলাগুলি, পাথর বা কাঁচের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্যও রয়েছেন। কারকুকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলছে।

কারকুক থেকে কুর্দির রাজধানী ইরবিল পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধে দাঙ্গাকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন প্রবীণ কুর্দি নেতা মাসুদ বারজানি। তিনি বলেন, শহরের বাসিন্দাদের জন্য একটি উত্তেজনাপূর্ণ এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।

jagonews24.com

বারজানি বলেন, এটা খুবই আশ্চর্যজনক যে নিরাপত্তা বাহিনী অবরোধকারীদের প্রতিরোধ করেনি। কুর্দি তরুণ এবং বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তার ছেলে মাসরুর বারজানি ওই স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ইতোমধ্যেই এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন। কারকুকে নির্যাতিত কুর্দি নাগরিকদের সংযম প্রদর্শন এবং সহিংসতা থেকে বিরত থাকারও আহ্বান জানান তিনি।

২০১৪ সালে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএসআইএল) বিতাড়িত করে কুর্দিশ বাহিনী কারকুক শহর নিয়ন্ত্রণে নেয়। কিন্তু ২০১৭ সালে ইরাকি সেনাবাহিনী শহরটিকে বাগদাদের নিয়ন্ত্রণে ফিরিয়ে আনে।

গত বছর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই কুর্দিদের সঙ্গে ইরাক সরকারের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য কাজ শুরু করেন মোহাম্মদ শিয়া আল সুদানি। তিনি কারকুকে কুর্দিদের সদরদপ্তর পুনরায় চালু করার অনুমতিও দেন।

কিন্তু আরবরা এবং সংখ্যালঘু গোষ্ঠীরা বলছে যে, তারা কুর্দি শাসনের অধীনে অনেক কষ্ট ভোগ করেছেন। সে কারণে কুর্দি শাসন ফিরে আসায় প্রতিবাদ করছেন তারা। স্বায়ত্তশাসিত কুর্দিস্তানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর কারকুক। এই শহরকে কুর্দিরা নিজেদের প্রাণকেন্দ্র বলেই মনে করে।

সর্বশেষ - সারাদেশ