মানবাধিকার কর্মীদের সাজা দিয়ে বর্তমান সরকার বার্তা দিচ্ছে যে তারা হার্ডলাইনে এবং ড্যাম কেয়ার বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নুর।
তিনি বলেন, ‘এই শাস্তির মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের আগে অন্যদের একটা মেসেজ দিচ্ছে। সেটা হচ্ছে সরকার খুব হার্ডলাইনে। সরকার খুব ড্যাম কেয়ার। যারাই আন্দোলন করছে তাদের হয় জেলে দেওয়া হবে, না হলে ছাত্রলীগ- যুবলীগ দিয়ে পেটানো হবে।’
মানবাধিকারকর্মী আদিলুর রহমান ও নাসির উদ্দীন এলানের মুক্তি দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলে সমাবেশ। এতে বক্তব্য রাখেন মানবাধিকারকর্মী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরারসহ আরও অনেকে।
সমাবেশে নুরুল হক নুর বলেন, ‘নির্বাচনের আগে মানবাধিকারকর্মীদের এই শাস্তি দেখে রাজনৈতিক কর্মীদের আরও ভাবতে হবে। মানবাধিকারকর্মীদের শাস্তির বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উদ্বেগ প্রকাশ করছে, কিন্তু সরকার তার তোয়াক্কা করছে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ৫৭ ধারা ছিল। এরপর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এসেছে। এরপর যখন বলা হচ্ছে এই আইনটি মৌলিক অধিকার পরিপন্থি, ব্যক্তি স্বাধীনতা হরণকারী। মানবাধিকার সংগঠন থেকে শুরু করে অনেক দেশ যখন বলছে এই আইনে নাগরিক অধিকার খর্ব করবে। এই আইনটা বাতিল করা দরকার। সরকার অনেকবার বলেছে আইনটা বাতিল করবে, সংশোধন করবে, সাংবাদিকদের হয়রানি করবে না। তবে শেষ পর্যন্ত সরকার আর বাতিল করেনি।’
নুর আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ থেকেও যখন আইনের ব্যাপারে বলা হয়েছে তখন তারা (সরকার) একটা বাটপারি করেছে, একটা প্রতারণা করেছে। শুধুমাত্র কয়েকটি ধারা জামিনযোগ্য রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করেছে।’
প্রতিবাদ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নুসরাত জাহান কেয়া ও আরিফুল ইসলাম আদীব। এতে আরও বক্তব্য রাখেন- জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, গীতিকার অরুপ রাহী, নারীপক্ষের সংগঠক শিরিন হক, সাংবাদিক মাহবুব মোর্শেদ, মায়ের ডাকের সমন্বয়ক আফরোজা ইসলাম আঁখি প্রমুখ।