বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, সবাই রাজপথে আসুন, সময় বেশি নেই। সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, আমার নেত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। মানবিক বিবেচনা করলে তাকে বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিপ্রায় হলো জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করা। ইনশাআল্লাহ অক্ষরে-অক্ষরে হিসাব নেব।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন। খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য দ্রুত বিদেশে প্রেরণ এবং সালাউদ্দিন আহমেদ, রফিকুল আলম মজনু ও তানভীর আহমেদ রবিনসহ নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে তানভীর আহমেদ রবিন মুক্তি পরিষদ।
ফারুক বলেন, রোববার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোর্টের বারান্দায় থাকি। ১৬ বছরে মামলা মাথায় নিয়ে রাতের ঘুম হারাম করে মানুষের বাড়িয়ে আশ্রয় নেয়, তাদের একটি লোকও কিন্তু আওয়ামী লীগে যোগ দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, জেলখানায় অগণিত বিএনপির নেতাকর্মীরা না খেয়ে অসুস্থ হয়ে কারাবরণ করছেন। তাদের দিকে তাকিয়ে দয়া করে রাস্তায় নেমে পড়ুন। তারেক সাহেবকে আনতে হবে, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরত আনতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার রক্ষার আন্দোলন করতে হবে।
তিনি বলেন, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সবাই মাঠে নেমেছে, সবাই কথা বলার অধিকার চায়, তারা ডিম-মাংসে ডাল-ভাত খেতে চায়, তারা দরজা খুলে ঘুমাতে চায়। তারা বাংলাদেশে এমন একটা ব্যক্তির অধীনে নির্বাচন চায়, যে নির্বাচনে আমি ভোট দিতে পারবো।
এ সময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মনে রাখবেন, সুবিধাভোগীরা আপনাদের চেহারা দেখে কিছু মালপানি দিয়ে আপনাদের মাঝে ঢুকতে চাইবে, সাবধান। পাত্তা দেবেন না।
তানভীর আহমেদ রবিন মুক্তি পরিষদের সভাপতি ফিরোজ আলম বাবু সভাপতিত্বে সদস্যসচিব বাইদুর রহমান ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তাঁতি দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, কাউন্সিলর খালেদা আলম, মৎস্যজীবী দলের সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কর্মজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল আউয়াল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বি রবিন প্রমুখ।