হাড় ক্ষয়ের চিকিৎসা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে এ বিষয়ে একটি বৈজ্ঞানিক সভা হয়েছে এবং সেখানে এ–সংক্রান্ত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের আয়োজনে গত বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সভা হয়। সেখানে ‘হাড় ক্ষয়: একটি নীরব ঘাতক’ শিরোনামের বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, অস্টিওপোরোসিস হাড়ের ক্ষয়জনিত একটি রোগ। যা হাড়ের টিস্যুকে প্রভাবিত করে। এতে হাড় দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। এই গুরুতর রোগের কারণে হাড় ভেঙে যেতে পারে। এটিকে একটি নীরব রোগ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। অস্টিওপোরোসিসের সমস্যার কারণে ঘনত্ব কমে গিয়ে হাড় হালকা ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং হাড় ভাঙার ঝুঁকি বেড়ে যায়। অস্টিওপোরোসিসের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে ৯০ লাখের বেশি মানুষের হাড় ভেঙে যায়। বেশির ভাগ রোগী জানে না যে তাদের হাড় দুর্বল হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিবছর ২০ অক্টোবর বিশ্ব অস্টিওপোরোসিস দিবস পালিত হয়। এ রোগ প্রতিরোধ, রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা গড়ে তুলতে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি সামনে রেখে গত ১৮ অক্টোবর (বুধবার) অনুষ্ঠিত ওই বৈজ্ঞানিক সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. শাহজাদা সেলিম। এরপর বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইটির লেখক তিনজন। তাঁরা হলেন ডা. শাহজাদা সেলিম, অধ্যাপক তসলিম উদ্দিন ও অধ্যাপক শেখ জিন্নাত আরা নাসরিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারডেম জেনারেল হাসপাতালের অধ্যাপক ফারুক পাঠান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক রেজাউল করিম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে এর ঝুঁকি শনাক্ত ও রোধ করাকে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করেন। বক্তারা বলেন, জীবনধারায় পরিবর্তন, কায়িক শ্রম, নিয়মিত ব্যায়াম, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-সমৃদ্ধ সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের প্রয়োজনে ঝুঁকি চিহ্নিত করে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। বক্তারা বলেন, একবার হাড় ভেঙে গেলে যেসব জটিলতার সৃষ্টি হয়, তার ব্যাপকতা অনেক। বয়স্ক ব্যক্তিদের অচল, শয্যাশায়ী বা কর্মক্ষমতাহীন হয়ে পড়ার অন্যতম কারণ হাড় ভেঙে যাওয়া। এতে প্রবীণদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে। বক্তারা বলেছেন, অস্টিওপোরোসিস সন্দেহ হলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসক রোগীর প্রকৃতি ও রোগের মাত্রা বুঝে প্রয়োজনীয় ওষুধ বা চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নেবেন।
অনুষ্ঠানটির বৈজ্ঞানিক সহযোগিতায় ছিল এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের একমাত্র জার্মান প্রযুক্তির গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ইসোরাল মাপস।
এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সৌজন্যে শিগগিরই দেশব্যাপী ছয় হাজার চিকিৎসকের কাছে বইটি পৌঁছে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানটির সার্বিক আয়োজনে ছিল ফেসবুকভিত্তিক ডাক্তারদের সংগঠন বিডি ফিজিসিয়ান্স।