জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখা-২ এর পরিচালক লাবণ্য আহমেদ মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। তিনি ২০১৮ সাল থেকে ব্লাড ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলা দেড়টার দিকে কলকাতার টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাবণ্য আহমেদের মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি তিন ছেলে এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী, বন্ধু-স্বজন রেখে গেছেন।
লাবণ্য আহমেদ দায়িত্বশীল, দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে নিজ কর্মক্ষেত্র, গণমাধ্যম এবং তথ্য ও সম্প্রচার ক্ষেত্রে সুপরিচিত ছিলেন। সততা ও নিষ্ঠার পাশাপাশি মার্জিত আচরণ এবং চমৎকার ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি সবার স্নেহ-ভালবাসা-শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে সহকারী পরিচালক হিসেবে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ অধিশাখায় যোগ দেন লাবণ্য আহমেদ।
লাবণ্য আহমেদ শহিদ পরিবারের সন্তান। শহিদ শহীদুল্লা কায়সার এবং শহিদ জহির রায়হানের ভাগ্নি তিনি। তার বাবা নাসির আহমেদ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও অস্ত্র প্রশিক্ষক এবং ১৯৭২ সালে দায়েরকৃত বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার বাদী। মা শাহেনশা বেগম ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির সদস্য।
লাবণ্য আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু এমপি, সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী এমপি এবং চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপিসহ অন্যান্য হুইপ। তারা শোকবার্তায় মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
শোক প্রকাশ করেছেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম, প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. নূরুজ্জামান, মানবসম্পদ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবা পান্না এবং অতিরিক্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহসহ সংসদ সচিবালয়ের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আরও শোক জানিয়েছেন এফঅ্যান্ডপিআর অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ সালেহউদ্দীন এবং গণসংযোগ অধিশাখার পরিচালক মো. তারিক মাহমুদসহ গণসংযোগ পরিবারের সদস্যরা। জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী ফোরামের সভাপতি এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারসহ সদস্যরাও গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।