‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ রাজধানীর বায়তুল মোকারমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে ব্যাপক শোডাউন করেছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
তাদের মধ্যে যেমন আছেন মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পদপ্রত্যাশীরা, তেমনই আছেন আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও। তবে, সবচেয়ে বড় শোডাউন করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, যিনি ঢাকা-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী। ৬-৭ হাজার নেতাকর্মীর বহর নিয়ে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশস্থলে আসেন তিনি। বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে সমাবেশে আসেন নেতাকর্মীরা। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের এই শোডাউন উপস্থিত সমাবেশে আসা অন্য নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচনার সৃষ্টি করে।
কামরুল হাসান রিপন বলেন, ঢাকা-৫ আসনের আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। ঢাকার এই প্রবেশপথে বিএনপি-জামায়াতের যেকোনো ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক পাহারায় আছেন নেতাকর্মীরা।
এছাড়া, বড় শোডাউনে নজর কেড়েছেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। দুপুর ১২টায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে তিনি সমাবেশস্থলে আসেন। পৃথকভাবে মিছিল এসেছে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মৎসজীবী লীগ, শ্রমিকলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন থেকে। এছাড়া, ঢাকা-১৯ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী সাইফুল ইসলামের সমর্থকদের লাল গেঞ্জি-টুপির মিছিল নজর কেড়েছে সমাবেশে থাকা নেতাকর্মীদের।
শনিবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের সামনে শান্তি সামবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সমাবেশ বেলা ১১টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর আগে নেতাকর্মীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে ওঠে ওই এলাকা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা মহানগর শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতারা বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে সমাবেশস্থলে আসেন বিকেল ৫টার পর।