একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সংবিধান ও আইনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সব ক্ষমতা রয়েছে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এস ওয়াই কোরাইশি। নিজের দেশের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় ভারতের নির্বাচন কমিশন দৃশ্যত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে।
রাজধানীর নির্বাচন ভবনে আজ রোববার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এস ওয়াই কোরাইশি এ মন্তব্য করেন। এদিন ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন নির্বাচন কমিশনার এবং ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সদস্য মিলিয়ে ৯ সদস্যের একটি দল ইসির সঙ্গে বৈঠক করে।
প্রতিবেশী দেশগুলোর সাবেক ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনাররা মূলত ঢাকায় এসেছেন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। সংগঠনটি নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছুদিন আগে তারা কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে দেশে এনে বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
ভারতের সাবেক সিইসি কোরাইশি বলেন, তিনি মনে করেন ভারতের নির্বাচন কমিশনের যেসব ক্ষমতা আছে, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনেরও একই ক্ষমতা রয়েছে। নির্বাচনের সময়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন দৃশ্যত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কমিশন সব ক্ষমতা পায়। ইসির অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পরিচালক আব্দুল জব্বার খান বলেন, তাঁরা মনে করেন, আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এখানে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে, সংলাপের উদ্যোগ নিতে হবে।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম জানায়, ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এস ওয়াই কোরাইশি, মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান ফুয়াদ তৌফিক, শ্রীলঙ্কার আর এম এ এল রথনায়েক, নেপালের নির্বাচন কমিশনার সাগুন শামসের জে বি রানা ও দেশটির সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইলা শর্মা বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই বৈঠকের যৌক্তিকতা কী, তা সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেহেতু বিদেশি মেহমানসহ আসছেন, সেখানে তিনটা দেশের দুজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, একজন নির্বাচন কমিশনার রয়েছেন, এ জন্য কমিশন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।’
তফসিল ঘোষণার অনুকূল পরিবেশ আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, অবশ্যই আছে। সংবিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদপূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।