রবিবার , ২৯ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

সারাদেশে হরতাল মহাখালী বাস টার্মিনাল ফাঁকা, যাত্রী অপেক্ষায় দূরপাল্লার বাস

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
অক্টোবর ২৯, ২০২৩ ৫:১১ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি-জামায়াতের হরতালে ফাঁকা রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড। দূরপাল্লার বাস প্রস্তুত থাকলেও যাত্রী মিলছে না। আবার যে কয়েকজন যাত্রী আসছেন, তারাও যথাসময়ে গন্তব্যে রওয়ানা দিতে পারছেন না। ঢাকার বাইরে থেকেও খুব কম বাস যাত্রী নিয়ে মহাখালী আসছে।

মহাখালী বাস টার্মিনালের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানান, বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।আতঙ্কে বাসা থেকে বের হচ্ছেন না যাত্রীরা। আবার ঢাকার বাইরে থেকেও যাত্রীরা ঢাকায় আসছেন না। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলো এ ধরনের কর্মসূচি দিলে পরিবহন মালিকদের লোকসান গুনতে হবে।

তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ নিজ নিজ দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টন এবং আরামবাগ এলাকায় জনসমাবেশ করে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন, কাকরাইল, বিজয়নগর, ফকিরাপুল, পল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয় বিএনপির। পরে দাবি আদায়ে আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) তারা হরতাল আহ্বান করে। অন্যদিকে, অনুমতি ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরও আজ রোববার হরতাল ঘোষণা দেয় জামায়াতে ইসলামী।

যদিও এই হরতালে ঢাকা শহরসহ শহরতলী এবং আন্তঃজেলা রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল অব্যাহত থাকবে বলে রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জানিয়েছেন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

রোববার (২৯ অক্টোবর) সরেজমিনে দেখা যায়, মহাখালী বাস টার্মিনাল ফাঁকা। অলস সময় পার করছেন পরিবহন শ্রমিকরা। এর মধ্যে এনা পরিবহনের কাউন্টারে উত্তরবঙ্গগামী কিছু যাত্রীর ভিড় দেখা গেছে। এ কাউন্টার থেকে সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কয়েকটি বাস ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

মহাখালী বাস টার্মিনাল ফাঁকা, যাত্রী অপেক্ষায় দূরপাল্লার বাস

শান্তিনগরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৯টার মহাখালী বাস টার্মিনালে যান। সকাল সাড়ে ৯টায় তার বাসে যাত্রী পরিপূর্ণ হলে গন্তব্যে ছেড়ে যান চালক।

এর আগে আলাপকালে নজরুল ইসলাম বলেন, গ্রামে যাওয়া জরুরি হওয়ায় আজ হরতালের মধ্যেও রওয়ানা দিয়েছি। তবে মনে আতঙ্ক লাগছে। যাত্রাপথে কোথায়ও বাধার সম্মুখীন হলে কী করবো বুঝতে পারছি না।

একই বাসের যাত্রী শেখ ফজর আলী। তিনি স্ত্রীসহ ময়মনসিংহ যাবেন। তিন দিন আগে স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ঢাকায় এসেছিলেন। শেখ ফজর আলী বলেন, স্ত্রীকে নিয়ে দুই দিন হাসপাতালে ছিলাম। এখন ঢাকায় থাকার জায়গা নেই। তাই হরতাল জেনেও গ্রামে রওয়ানা দিয়েছি। এখন সুস্থভাবে গ্রামে যেতে পারলেই হলো।

বিনিময় স্পেশাল পরিবহনের চালক রাহাদ হাসান বলেন, আজ হরতালে মালিক সমিতি থেকে বাস চালানোর নির্দেশনা দিয়েছে। এখন পর্যাপ্ত যাত্রী না থাকলেও গাড়ি নিয়ে সড়কে নামতে হয়েছে। অথচ এ ধরনের হরতালে পরিবহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বেশি ঘটছে।

এনা পরিবহনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি করছেন মো. নাহিদুর রহমান। তিনি বলেন, সকাল ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ৮টা বাস ছেড়ে গেছে। স্বাভাবিক সময়ে ৩০টিরও বেশি বাস যায়। আজ যাত্রী কম থাকায় এমনটি হচ্ছে। তিনি বলেন, তাদের পরিবহনের বাসগুলোতে গড়ে ৪০টি করে সিট রয়েছে। ৩০ জন যাত্রী হলেই ছেড়ে দিচ্ছেন।

সর্বশেষ - সারাদেশ