বৃহস্পতিবার , ২ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কীটনাশক খেয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মৃত্যু, স্বামী লাপাত্তা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
নভেম্বর ২, ২০২৩ ৩:১১ অপরাহ্ণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কীটনাশক বড়ি খেয়ে আফসানা হক (৩৩) নামের এক উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পারিবারিক কলহের জেরে তিনি ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে স্বজনেরা অভিযোগ করেন। এদিকে স্ত্রীর মারা যাওয়ার খবর শুনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে তাঁর লাশ রেখে পালিয়েছেন স্বামী। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।

আফসানা হক আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে। জেলা শহরের মধ্যপাড়া বর্ডার বাজার এলাকার একটি ভাড়া বাসায় দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে বসবাস করতেন। সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ছিলেন তিনি।

আফসানার বাবা ফজলুল হক জানান, ২০১১ সালে বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের ইমরান খানের সঙ্গে আফসানার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সংসারে দুটি ছেলেসন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ইমরান যৌতুকের জন্য আফসানাকে চাপ দেন। বাবার বাড়ি থেকে টাকা না এনে দেওয়ায় আফসানাকে একাধিকবার নির্যাতন করেছেন ইমরান। একপর্যায়ে ইমরান পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে ইমরানের সঙ্গে আফসানার প্রায়ই কথা–কাটাকাটি ও ঝগড়া হতো।

ফজলুল হক অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ে সব জেনেও দুই সন্তানের কথা ভেবে স্বামীর সংসার করে যাচ্ছিল। গতকাল বিকেলে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইমরানের সঙ্গে তার কথা–কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। সন্ধ্যায় পোকা মারার ওষুধ (কেরির বড়ি) খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আফসানা। ইমরান তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানে রাত ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় ইমরান।’

ঘটনার পর লাপাত্তা ওই নারীর স্বামী ইমরান খান। অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইমরান খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আকরাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে স্বামীর সঙ্গে আফসানার পারিবারিক বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে একাধিকবার সালিসও হয়েছে। আফসানা ও তাঁর স্বামী—দুজনই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের একসঙ্গে রাখার চেষ্টা করছিলেন। যত দূর জেনেছেন, পারিবারিক কলহের জেরে আফসানা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে ওই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ‘আত্মহত্যা’ করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুমন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ওই রোগী বিষক্রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্ত হয়েছে। ভিসেরা প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে।’

সর্বশেষ - সারাদেশ