রবিবার , ৫ নভেম্বর ২০২৩ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

যেখানে জ্বালাও-পোড়াও সেখানেই প্রতিরোধ: নাছিম

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
নভেম্বর ৫, ২০২৩ ৫:২১ অপরাহ্ণ

বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশকে অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে ধ্বংস করতে চায় মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, ‘এদের বিপক্ষে আমাদের মাঠে নামতে হবে। যেখানে জ্বালাও-পোড়াও হবে, সেখানেই প্রতিরোধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মাঠে-ময়দানে মানুষের সঙ্গে মিশে ধ্বংস ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। জ্বালাও-পোড়াও, খুনের রাজনীতির বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের কাজ করতে হবে। যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চাইবে, তাদের প্রতিহত করা হবে।’

রোববার (৫ নভেম্বর) জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি সংসদ।

আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘আজ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, গণতন্ত্রের বিপক্ষে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সঙ্গে যারা হাত মিলিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করেছে- সে হত্যাকারীরা এখনো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিমুহূর্তে ষড়যন্ত্র করছে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি এক অপশক্তি। এদের হাত থেকে আমাদের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে হবে। এদের ধ্বংস করতে না পারলে এরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেবে। জাতির পিতা সারাজীবন যে সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন, এরা ধ্বংস না হলে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা করতে পারবো না। জাতির পিতা কখনো খুনিদের কাছে মাথা নত করেননি, আপস করেননি। এ অপশক্তি মিথ্যা, গুজব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে আবারও অশান্ত করতে চায়। এরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধ বিশ্বাস করে না। এরা চায় বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত হোক।’

আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে যদি তার পরিবারের কেউ বেঁচে থাকেন, তিনি যদি বাংলার মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নিয়ে যান- তাহলে (মানুষের মনে) তার জায়গা হবে। এ কথা ভেবে জাতির পিতার পরিবারের সবাইকে সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় তারা বেঁচে যান। তারা যদি দেশে থাকতেন তাহলে হয়তো একই ঘটনার শিকার হতেন। জাতীয় ৪ নেতা জেলখানার ভেতরে থাকায় তাদেরও হত্যা করা হয়। আমরা ভেবেছিলাম তাদের ওপর কোনো আঘাত আসবে না। খুনিরা সে সুযোগ তাদের দেয়নি। আজ তারা বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে আজ যে রোল মডেল- তা অনেক আগেই হতো।’

জাতীয় চার নেতার কথা স্মরণ করে নাছিম বলেন, ‘জাতীয় চার নেতা সারাজীবন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত ছিলেন। তারা ছিলেন নির্লোভ, নির্মোহ। তারা মন্ত্রিত্ব প্রত্যাখ্যান করে কারাবরণ করেছেন, কিন্তু নিজেদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত হননি। আমাদেরও চার নেতার পথ অনুসরণ করে চলতে হবে।’

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি বলেন, ‘জাতীয় চার নেতার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অনেক স্মৃতি আছে। চার নেতা জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে নিজের আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন। তারা কখনো বেইমানি করেননি।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নেতা এম মনসুর আলীর পৌত্র তানভীর শাকিল জয় এমপি। তিনি বলেন, ‘যেসব দেশ বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার খুনিদের আশ্রয় দিয়ে রেখেছে, তাদের উচিত হবে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার প্রতি শ্রদ্ধা দেখানো। চার নেতার পরিবারের সদস্যদের তো ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। খুনিদের ফিরিয়ে না দিয়ে আশ্রয়দাতা দেশগুলো মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) সভাপতি প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান, আইইবির টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিভিশনের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. আসাদ হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল মুকুল, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল প্রমুখ।

সর্বশেষ - সারাদেশ