সোমবার , ২০ নভেম্বর ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

‘দিনশেষে তেলের টাকাই ওঠে না, এভাবে চলা মুশকিল’

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
নভেম্বর ২০, ২০২৩ ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

‘হরতাল-অবরোধে ১০-২০ মিনিট পরপর দু’একজন করে যাত্রী আসেন। এভাবে বাসের সব আসন পূরণ হতে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা লেগে যায়। এর মধ্যে আবার দেরি দেখে অনেক যাত্রী বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে চলে যান। তখন ফাঁকা আসন নিয়ে ছুটতে হয়। দিনশেষে তেলের টাকাই ওঠে না। ফলে নিজেদের পারিশ্রমিকের টাকাও মালিক ঠিকমতো দেন না। এভাবে চলা খুব মুশকিল। সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমাদের।’

সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় মহাখালী বাস টার্মিনালে সৌখিন পরিবহনের বাসচালক আব্দুল আলিম জাগো নিউজকে এসব কথা বলেন।

আব্দুল আলিম বলেন, ‘পরিবহন শ্রমিকদের দিনের বেতন দিনে দেওয়া হয়। অর্থাৎ গাড়ি চললে টাকা, না চললে কোনো পয়সা দেওয়া হয় না। অথচ যাত্রীর অপেক্ষায় গাড়ি নিয়ে সারাদিন টার্মিনালে বসে থাকতে হচ্ছে। নিজের পকেটে টাকা দিয়ে তিনবেলা খাবার খেতে হচ্ছে। গ্রামে থাকা পরিবারের খরচের টাকাও দিতে পারছি না।’

‘দিনশেষে তেলের টাকাই ওঠে না, এভাবে চলা মুশকিল’

টার্মিনালে সোনার বাংলা পরিবহনের বাসে শুয়ে ছিলেন জামাল নামে এক স্টাফ। গতকাল থেকে তার বাসে একজন যাত্রীও ওঠেনি বলে জানান তিনি। আলাপকালে জামাল জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরিবহন মালিকদের নির্দেশে বাসেই দিনরাত বসে বসে সময় পার করছি। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত একজন যাত্রীও পাইনি। হরতাল-অবরোধের নামে এই ধরনের দুরবস্থা আর কতদিন চলবে আল্লাহই ভালো জানে।’

শ্যামল বাংলা পরিবহনের সুপারভাইজার শাহজাহান আলী বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে তাদের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। সকাল পৌনে ১০টায় ১৫ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস ছেড়ে গেছে। এরপর সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টায় মাত্র দুইজন যাত্রী পেয়েছি। বাসে যাত্রী না হওয়ায় তারাও হতাশ হয়ে গেছেন। তারা বিকল্প ব্যবস্থায় চলে যাবেন বলে জানাচ্ছেন।’

‘দিনশেষে তেলের টাকাই ওঠে না, এভাবে চলা মুশকিল’

এই দুই যাত্রীর একজনের নাম কাজী বোরহান। তিনি বলেন, ‘হরতাল-অবরোধে এমন দুরবস্থা আগে কখনো দেখিনি। ঢাকায় গণপরিবহন কিছু চললেও দূরপাল্লার যাত্রী নেই। এখন বিকল্প পথে কীভাবে বাড়ি যাওয়া যায় সেই চিন্তা করছি।’

তবে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে এনা পরিবহনের কাউন্টারে। এ পরিবহনের ময়মনসিংহগামী বাস আধাঘণ্টা পরপর ১০-১৫ জন যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে ছুটছে। কাউন্টারের সামনেও যাত্রীদের টিকিট কাটার জটলা দেখা গেছে।

এনা পরিবহনের সুপারভাইজার নূর আলম জানান, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে টানা হরতাল-অবরোধে তারা নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করছেন। তবে আগের তুলনায় এক-তৃতীয়াংশ যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না। তারপরও যাত্রী পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে মালিকপক্ষ থেকে নির্দেশনা আছে। যদিও গাড়ির তেলের টাকাই ঠিকমতো ওঠে না বলে দাবি করেন তিনি।

সর্বশেষ - সারাদেশ