প্রায় এক বছর ধরে তালা ঝুলছে সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার ১১ নম্বর কাদাকাটি ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় জমির মালিকরা। জমির খাজনা বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের জন্য ছুটে যেতে হচ্ছে পাশের ইউনিয়ন দরগাহপুর ভূমি অফিসে। দুই ইউনিয়নের কাজ এক অফিসে হওয়ায় সেখানে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে সেবা গ্রহীতাদের।
এছাড়া নামজারির প্রতিবেদন তৈরিসহ জমি ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বিভিন্ন কাগজপত্র উত্তোলন করতে লাগছে অনেক সময়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন জমির মালিকরা। তাই দ্রুত ভূমি কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে ভূমি অফিস পুনরায় চালু করার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে একজন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও দুজন করে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার পদ রয়েছে। কিন্তু কাদাকাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দীর্ঘদিন ধরে ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) নেই। তবে কি কারণে নেই তার কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কাদাকাটি গ্রামের কার্তিক সরকার জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় এক বছর ধরে আমাদের এই ভূমি অফিসে এসে দেখছি তালা ঝুলানো। পরে জানতে পারলাম এ ভূমি অফিসের কার্যক্রম প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে দরগাহপুর ইউনিয়নের ভূমি অফিসে হবে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
কাদাকাটি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বিপ্লব কুমার রায় জাগো নিউজকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ অফিসের ভূমি কর্মকর্তা না থাকায় এলাকার লোকজন ভূমি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গতবছর ভূমি কর্মকর্তা বদলি হওয়ার পর এখানে আর কোনো ভূমি কর্মকর্তা আসেনি।
কাদাকাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার দিপ জাগো নিউজকে বলেন, ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) না থাকায় আমার এলাকার মানুষ প্রায় আট মাসের বেশি সময় ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। দ্রুত একজন তহশিলদার নিয়োগ করা প্রয়োজন।
আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রনি আলম নুর জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। জমির মালিকদের যেন হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য অতি দ্রুত সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করবো।