নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতো ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালনের জন্য ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশনা দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক চিঠিতে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট গ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের জন্য এসব নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বলেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মোবাইলকোর্ট আইনের আওতায় আচরণবিধি প্রতিপালন করতে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রতি উপজেলায় একজন করে তবে ১৫ বা এর বেশি ইউনিয়ন রয়েছে এমন উপজেলায় দুজন করে, এ শ্রেণির জেলা সদরের পৌরসভায় একজন তবে ওয়ার্ড ৯টির বেশি হলে দুই জন করে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৫ জন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে ১০ জন, খুলনা সিটি করপোরেশনে ৬ জন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে ৪ জন এবং অন্যান্য সিটি করপোরেশনে তিন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে।
উপজেলাগুলোতে ৫২৫ জন, পৌরসভায় ২১০ জন এবং সিটি করপোরেশনে ৬৭ জনসহ ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে গত ২৩ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে চিঠি দেয় নির্বাচন কমিশন।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, স্থানীয় বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তার নিরীখে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে পরামর্শ করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সংখ্যা কমাতে বা বাড়ানো যাবে।
নির্বাচন কমিশন বলেছিল, প্রত্যেক জেলায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ১/২ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োজিত রাখতে হবে, যাতে জরুরি প্রয়োজনে যেকোনো স্থানে দায়িত্ব পালন করতে পারে।
ভোটগ্রহণের কয়েক দিন আগ থেকে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত অথবা কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুসারে মোবাইল স্টাইকিং ফোর্সের সাথে বিশেষ করে বিজিবি বা অনুরূপ বাহিনীর প্রতি টিম বা প্লাটুনের সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে বলেও ইসির চিঠিতে জানানো হয়েছিল।
একই সঙ্গে চিঠিতে ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগ থেকে ভোটগ্রহণের পর পর্যন্ত কিছু সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্বাচনী এলাকায় সার্বিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজেও নিয়োজিত করার প্রয়োজন হবে জানিয়ে ২৮ নভেম্বর থেকে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৮০২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে বলেছিল নির্বাচন কমিশন।