ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী ইউনিয়নের চপই বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারের পাশে চপই দাখিল মাদ্রাসার মাঠের এক পাশে ডেকোরেটরের বাঁশ, চেয়ার-টেবিল ও শামিয়ানা এনে রাখা হয়েছে। প্রচুর লোকজন সেখানে ভিড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। স্থানীয় লোকজন জানান, নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করার জন্য ঈগলের কর্মীরা ডেকোরেটরের উপকরণ এখানে এনে রেখেছেন। হাতাহাতির ঘটনায় খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে লোকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অরুণ কৃষ্ণ পাল। চারপাশে পুলিশ সদস্যদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
গজারিয়ায় আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৭
এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আবেদীন খান গত দুই সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করেন। তবে এবার তিনি দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি ঈগল প্রতীক পেয়েছেন। অপর দিকে এ আসনে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন (নৌকা প্রতীক) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আবদুস সালাম।
নৌকার কর্মী মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বাছাই করা জায়গায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করতে এলে আমরা তাঁদের বাধা দিই। তাঁরা আমাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে হাতাহাতিতে লিপ্ত হন। একজন আমাকে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেন।’ পরে তিনি মুশুল্লী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের খবর দেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা সেখানে এলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা মারমুখী হয়ে ওঠেন। পরে প্রশাসনের লোকজন গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। মুশুল্লী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল লতিফ বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি সেখানে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন।’
নাটোর-১ আসনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ৫
ঈগলের কর্মী মো. আবদুল হাই ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা আগে থেকে জায়গা বাছাই করে নির্বাচনী কার্যালয় স্থাপন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ওই সময় নৌকার সমর্থকেরা আমাদের বাধা দেন। আমরা প্রতিবাদ করে তাঁদের অন্যত্র কার্যালয় করতে বলি। কিন্তু তাঁরা এতে রাজি না হয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। তারঘাট বাজার থেকে কিছু লোকজন এসে এখানে উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা চালান।’ ঈগলের নির্বাচনী শিবিরের সংগঠক আহসান কবীর বলেন, নৌকার সমর্থকেরা গায়ে পড়ে ঝগড়া বাধাতে চাইছেন। বিষয়টি তিনি সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদকে ফোনে জানিয়েছেন।
পিরোজপুরে নৌকা ও স্বতন্ত্র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, তিন নেতার বাড়িতে হামলা
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের সংগ্রামকেলী বাজারে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের একটি বড় দল সেখানে যায়। এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, ‘আমরা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই দলকে মুখোমুখি অবস্থানে পেয়েছি। পরে তাঁদের নিরস্ত করা হয়।’