৭ জানুয়ারির ভোট বর্জন এবং সরকারকে অসহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানীসহ সারাদেশে প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। গণসংযোগের নেতৃত্বে ছিলেন পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরী।
এসময় তারা প্রেস ক্লাব থেকে পুরানা পল্টন মোড় পর্যন্ত রাস্তায় সব শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করেন। নেতাকর্মীরা নির্বাচনকে আওয়ামী লীগের তৈরি ‘ডামি দল’ ও ‘ডামি প্রার্থীর’ নির্বাচন উল্লেখ করে এর বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।
গণসংযোগ শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের মানুষ এখন ভোটাধিকার ফেরত চায়। সেই ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য প্রয়োজন নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। অথচ বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগেই কে কয়টা সিট পাবে তা ভাগাভাগি করে দিচ্ছে। এ সরকারের ওপর জনগণের আর বিশ্বাস নেই। সরকারের পতন ঘটাতে অসহযোগ আন্দোলনের বিকল্প নেই।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার গণসংযোগের প্রথম দিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রচারপত্র বিতরণ ও গণসংযোগ করেন বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
আজ শুক্র ও আগামীকাল শনিবারও সারাদেশে গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হবে। রোববার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি ও সমমনারা।
গত বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে চারদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী- বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার (২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর) তিনদিন ঢাকাসহ সারাদেশে গণসংযোগ এবং রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি এবং নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
একই দিন সরকারের পদত্যাগ দাবিতে সারাদেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিএনপি।