কক্সবাজারের টেকনাফের লম্বরি ঘাটে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারকালে খাদ্যসামগ্রী ও অকটেন জব্দ করেছে কোস্টগার্ড সদস্যরা। অভিযানে ১৯ জন পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এছাড়া সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপে অভিযানকালে এক কেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৮৫ বোতল বিদেশি মদ ও ৩৩৫ ক্যান বিয়ারও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার লুৎলাহিল মাজিদ।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোরে টেকনাফ থানাধীন লম্বরি ঘাট থেকে কাঠের নৌকায় বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য ও তেল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচার করা হচ্ছে এমন সংবাদে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের বিসিজি স্টেশন টেকনাফ কর্তৃক অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলাকালীন সময়ে টেকনাফ লম্বরি ঘাট থেকে কয়েকটি কাঠের বোটকে মিয়ানমারের উদ্দেশে যেতে দেখা যায়।
এ সময় কোস্ট গার্ড সদস্যরা উক্ত বোটগুলোকে ধাওয়া করে আটক করে। পরে বোটগুলো তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারে পাচারের উদ্দেশ্যে বোটে রাখা ১৫ বস্তা শুকনা মরিচ, ৪০ বস্তা পেঁয়াজ, এক বস্তা তামাক পাতা, ৩ বস্তা টেস্টিং সল্ট, এক হাজার ৮২১ লিটার অকটেন, তিন হাজার ৭৫২ লিটার সয়াবিন তেল, ১৩৬ লিটার ডিজেলসহ ১৯ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
অপরদিকে একইদিন ভোরে মাদকের একটি চালান মিয়ানমার থেকে সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পাচার হবে এমন সংবাদে কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের বিসিজি স্টেশন সেন্টমার্টিন কর্তৃক ছেঁড়াদ্বীপে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ছেঁড়াদ্বীপ কেয়াবনের মধ্যে পাঁচারের উদ্দেশ্যে অভিনব কায়দায় লুকায়িত ৩১টি পরিত্যাক্ত বস্তা জব্দ করে কোস্টগার্ড সদস্যরা। বস্তাগুলো তল্লাশি চালিয়ে এককেজি ক্রিস্টাল মেথ (আইস), ২৮৫ বোতল বিদেশি মদ ও ৩৩৫ ক্যান বিয়ার জব্দ করা হয়।
উক্ত স্থানে কোনো পাচারকারী না থাকায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ (আইস), বিদেশি মদ ও বিয়ার পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
অপরদিকে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া জব্দকৃত মালামাল টেকনাফ শুল্ক গুদামে ও গ্রেফতারকৃত পাচারকারী ১৯ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।