মঙ্গলবার , ২ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

চট্টগ্রাম-১১ তিনবারের এমপি আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে স্বতন্ত্রের ‘চ্যালেঞ্জ’

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জানুয়ারি ২, ২০২৪ ৩:৫০ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-ডবলমুরিং) আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে রয়েছে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর, দুটি বৃহৎ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, বিমানবন্দর, নৌ-বিমান ঘাঁটিসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ভোটারদের মধ্যেও রয়েছে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী। কর্মক্ষেত্র হওয়ায় চট্টগ্রামের বাইরের জেলার অনেক মানুষ এ আসনের ভোটার। এ আসনে তিনবারের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফকে (এম এ লতিফ) মোকাবিলা করতে হচ্ছে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমনকে।

আসনটিতে বিগত তিনবার সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী এম এ লতিফ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে পরাজিত করে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত ভোট বর্জন করায় অনেকটা নির্বিঘ্নে জয়ী হলেও সেবার কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল ১৫ শতাংশেরও কম। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে চার-পঞ্চমাংশের বেশি ব্যবধানে হারিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন লতিফ। তবে, ওই ভোট নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ভোটারদের।

এবার বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলো ভোট বর্জন করলেও নির্বাচনে অনেকটা নিজের ঘরকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে লতিফকে। দলীয় ঘোষণার সুযোগ নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের ঘরের ছেলে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন এম এ লতিফকে। সংসদ নির্বাচনে নতুন হলেও নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় পুরোনো সুমন দুবার চসিকের ৩৯ নম্বর (দক্ষিণ হালিশহর) ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। দলের একটি অংশও সুমনের সঙ্গে রয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্দর, পতেঙ্গা, ইপিজেড এবং ডবলমুরিং থানার মধ্যে সিটি করপোরেশনের ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ, ২৮ নম্বর পাঠানটুলী, ২৯ নম্বর পশ্চিম মাদারবাড়ি, ৩০ নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ি, ৩৬ নম্বর গোসাইলডাঙ্গা, ৩৭ নম্বর উত্তর মধ্যম হালিশহর, ৩৮ নম্বর দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর, ৩৯ নম্বর দক্ষিণ হালিশহর, ৪০ নম্বর উত্তর পতেঙ্গা এবং ৪১ নম্বর দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ড নিয়ে আসনটি গঠিত। আসনে ভোটার ৫ লাখ ১ হাজার ৮৫২ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৭৪ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৬ জন এবং দুজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

jagonews24

১০ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ১২ হাজার ৩১ জন। এ ওয়ার্ডে সর্বোচ্চ ৩২টি কেন্দ্র রয়েছে। নারী ভোটারও রয়েছে এ ওয়ার্ডে বেশি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮০ হাজার ১৬২ জন ভোটার রয়েছে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৮৮৯ জন ভোটার রয়েছে। মূলত ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে চিটাগাং এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (সিইপিজেড)। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে কর্ণফুলী এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (কেইপিজেড)। এ দুই ইপিজেডে কাজ করে দুই লাখ ৪৫ হাজার শ্রমিক। যাদের একটি বড় অংশ এ তিন ওয়ার্ডের ভোটার। যারা ভাসমান ভোটার হিসেবে পরিচিত। আবার স্থান পরিবর্তনের কারণে এসব ভোটার নির্ধারিত জায়গায় থাকেন না।

এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ লতিফসহ সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ও চসিক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, ইসলামিক ফ্রন্টের আবুল বাসার মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, সুপ্রিম পার্টির মো. মহিউদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত, এনপিপির নারায়ণ রক্ষিত ও গণফোরামের উজ্জ্বল ভৌমিক। এর মধ্যে লতিফ ‘নৌকা’ এবং সুমন ‘কেটলি’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সরেজমিনে স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমএ লতিফ তিনবারের সংসদ সদস্য হওয়ায় ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্গে তার সংযোগ পুরোনো। পুরো আসনের প্রত্যেক অলিগলি তার চেনা। এলাকার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রশ্রয় না দেওয়ায় স্থানীয় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে লতিফের আলাদা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। যেটি ভোটের মাঠে প্রভাব তৈরি করেছে। পাশাপাশি সংসদ সদস্য হওয়ার পর ‘ন্যায্যমূল্যের ভোগ্যপণ্য’, কম আয়ের মানুষের মধ্যে ২৫ টাকায় দুপুরের সরবরাহের ‘এমপি’স কিচেন’, নারীর ক্ষমতায়নে ‘স্বাধীনতা নারীশক্তি’ নামে বেশ কয়েকটি জনবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজের ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করেছেন। তবে নিজ দল আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের একটি অংশ তার ওপর নাখোশ। সুমন বাদেও ওই আসনে সিটি করপোরেশনের ৯ কাউন্সিলর দুভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, জিয়াউল হক সুমন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের দুবারের কাউন্সিলর। অন্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও ভোটারদের কাছে নতুন। তবে, এ আসনে আওয়ামী লীগের এমপি লতিফবিরোধীরা সুমনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার লতিফের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

jagonews24

এছাড়া এম এ লতিফ চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে চেম্বারের সরাসরি দায়িত্বে না থাকলেও গত ১৪ বছরে লতিফের একক কর্তৃত্বে চলে আসছে ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি। বর্তমানে তারই সন্তান ওমর হাজ্জাজ চেম্বার সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। যে কারণে চট্টগ্রামের শিল্প ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও পুরোনো সম্পর্ক রয়েছে লতিফের।

অন্যদিকে, ইপিজেড এলাকার ব্যারিস্টার কলেজ ছাত্র-সংসদের ভিপি হওয়ার সুবাধে গত ১৫ বছর ধরে সিইপিজেডের ঝুটের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছেন জিয়াউল হক সুমন। এরপর থেকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি সুমনকে। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান সুমন। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। আবার আসনটিতে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ চট্টগ্রাম বন্দর। এমপি লতিফের কারণে বন্দরকেন্দ্রিক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে যাদের বেগ হতে হয়, চট্টগ্রাম মহানগরকেন্দ্রিক সরকারি দলের একটি অংশ বাইরে থেকে সুমনকে সমর্থন দিচ্ছেন।

যা বলছেন ভোটাররা
পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় কথা হলে আবদুল হালিম নামে এক ভোটার বলেন, মানুষের মধ্যে ভোট নিয়ে ভীতি রয়েছে। সুমন ইপিজেড এলাকার কাউন্সিলর। তার সঙ্গে এখানকার লোকজনের পরিচয়ও নেই। আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা তাকে এখানে এনে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। তারপরেও সুমন নৌকা প্রতীকের সঙ্গে ফাইট দেবে।

পশ্চিম নিমতলা এলাকার বাসিন্দা মো. বেলাল হোসেন বলেন, এখানে ভোটের পরিস্থিতি ভালো। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যাবে। মূলত ইপিজেড এরিয়ায় কেটলি বেশি পাবে। এর বাইরের এলাকাগুলোতে নৌকা বেশি ভোট পাবে। এম এ লতিফ নারীদের জন্য অনেক কিছু করেছেন। এখানে নারীদের ভোট লতিফ সাহেব বেশি পাবেন।

ধোপা-পুকুর এলাকার বাসিন্দা বয়োবৃদ্ধ নারায়ণ চন্দ্র দাশ বলেন, আগে রিকশা চালাতাম। এখন শরীরে কুলায় না। ছেলে মাস্টার্স পাস করেছে। অনেকের কাছে গিয়েছি। কোনো কাজ হয়নি। এখানে কোনো মাতৃসদন কিংবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেই। এলাকার উন্নয়ন তেমন একটা হয়নি। কেটলি প্রতীকের সুমন এমপি লতিফের সঙ্গে সমান লড়াই হবে।

jagonews24

দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর মাইজপাড়া এলাকার ৭৬ বছর বয়সী বৃদ্ধ শাহ জামাল বলেন, ‘আমাদের এলাকায় পানির সংকট প্রকট। এখানে লতিফ সাহেব প্রত্যেক পাড়ায় পাড়ায় সাবমার্সিবল পাম্প বসিয়ে দিয়েছেন। এমন কোনো মসজিদ নেই, লতিফ সাহেব সহায়তা করেননি। প্রত্যেক মসজিদে তিন-চারটি করে স্ট্যান্ড ফ্যান দিয়েছেন। আবার যখন চাল-ডালের দাম বেড়ে যায়, তখন পুরো এলাকায় ট্রাকে করে অর্ধেক মূল্যে পণ্য সরবরাহ করেন। লতিফ সাহেব দলীয় কোনো চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় আশ্রয় দেননি।’

তিনি বলেন, ‘লতিফ সাহেব পুরোনো। ভোটে তিনি এগিয়ে আছেন। আবার সংসদে গিয়ে তিনি কখনো জোড়ালো বক্তব্য দেননি। এটাও ভোটাররা হিসেব করছেন। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাবে। আমি প্রত্যেক নির্বাচনে ভোট দিয়েছি। এবারও দেবো। এখানে কেটলি নতুন। তারপরেও তার প্রভাব রয়েছে।’

চেষ্টা করেও স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে ভোটারদের জিয়াউল হক সুমন বলছেন, ‘রাজনীতি থেকে আমার আর কিছু চাওয়া-পাওয়া নেই। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আমি সাধারণ মানুষের সেবা করতে চাই। নির্বাচিত হলে বেকারদের জন্য চাকরির ব্যবস্থা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজন কেটলির প্রচারণায় ভীতি সঞ্চারের অভিযোগ করে সুমন বলেন, ‘আমার সমর্থকদের ওপর হুমকি আসছে, নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার উদ্দেশ্যে এসেছিল রাজাকারের বংশধরেরা। এরই মধ্যে থানায় মামলা হয়েছে। তারপরেও জনগণের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস কেটলি প্রতীককে ঘিরে। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

নৌকা প্রতীকের এম এ লতিফের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার নির্বাচনী প্রচার কমিটির সমন্বয় সচিব জাকের আহমদ খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত ১৫ বছরে আমাদের ১১ আসনের এমন কোনো এলাকা নেই যেখানে লতিফ সাহেব উন্নয়ন করেননি। শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে এলাকায়। মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হয়েছে, সেটা হলো অর্ধেক দামে ভোগ্যপণ্য। যখন বাজারে যে পণ্যের দাম বেড়ে যায়, তখন ওই সময়ের অর্ধেক দামে চাল, ডাল, তেল, ডিম, পেঁয়াজ দিয়েছেন পুরো এলাকায়। লতিফ সাহেবের নিজের টাকায় এ কর্মসূচি গত ১৫ বছর ধরেই চলছে। ভাসমান স্বল্প আয়ের মানুষকে ‘এমপি’স কিচেন’ নাম দিয়ে ২৫ টাকায় দুপুরের খাবার দিয়েছেন। এ ১৫ বছরে কোনো চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের অভিযোগ নেই। যারাই চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে পারেনি, তারাই আজ লতিফ সাহেবের বিরুদ্ধে জোট বেঁধেছে। আমাদের সন্ত্রাসীর প্রয়োজন নেই। সাধারণ মানুষ লতিফ সাহেবের পক্ষে রয়েছেন। ভোটে তা প্রমাণ হবে।’

বিগত তিন নির্বাচনের ফল
২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে পরাজিত করেন এম এ লতিফ। ওই নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ আসনে ভোটার ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৯৫০। এরমধ্যে ভোট পড়ে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৫৪৯। তাতে নৌকা প্রতীকে এম এ লতিফ পান ১ লাখ ৬৪ হাজার ২৯১ ভোট, ধানের শীষ প্রতীকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী পান ১ লাখ ৪২ হাজার ৪৪ ভোট।

২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি-জামায়াত। নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে এম এ লতিফ, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির কামাল উদ্দিন এবং মশাল প্রতীকে জাসদের মো. জসিম উদ্দিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাতে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭৯ ভোটের মধ্যে তিন প্রার্থী পান ৬৭ হাজার ৬০০টি। এর মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে এম এ লতিফ পান মাত্র ৬৫ হাজার ১১ ভোট। এছাড়া লাঙ্গল প্রতীক পায় ২ হাজার ৭ ভোট এবং জাসদের মশাল প্রতীক পায় মাত্র ৫৮২ ভোট।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে হারান লতিফ। ওই নির্বাচনে ভোটার ছিল ৫ লাখ ৭ হাজার ৪০৯। এরমধ্যে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ২৭৮ ভোট পড়ে। এতে নৌকা প্রতীকে এম এ লতিফ পান ২ লাখ ৮৩ হাজার ২০৪ ভোট। অন্যদিকে, ধানের শীষ প্রতীকে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষে ৫২ হাজার ৯১৬ ভোট পড়েছে বলে ফলাফলে উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ - সারাদেশ