ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করেছে তারা আরও এক হামাস কমান্ডারকে হত্যা করেছে। মাঘাজি শহরে হামলা চালিয়ে এক কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন হামাস যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র আভিচাই আদ্রাই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হামাসের এক কমান্ডারসহ বেশ কয়েকজন যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করলেও ওই কমান্ডারের নাম প্রকাশ করেননি।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে হামাসের ব্যবহৃত একটি ভবনে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালিয়েছে। সেখানে সাত হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে। ওই হামলায় হামাসের স্থানীয় এক কমান্ডার নিহত হয়েছেন। ওই কমান্ডার গত ৭ অক্টোবরের হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। সে সময় ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। তিন মাসের বেশি সময় ধরে গাজার বিভিন্ন স্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
গাজার কোনো স্থানই এখন আর নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এখানে সেখানে ভবনের ধ্বংসস্তূপ পড়ে থাকা গাজা যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।
হামাসকে নির্মূলের অজুহাতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৩ হাজার ৪৬৯ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই শিশু। আহত হয়েছে আরও ৫৯ হাজার ৬০৪ জন।
আভিচাই আদ্রাই অভিযোগ করেছেন যে, খান ইউনিসে বেশ কয়েকটি অ্যাসল্ট রাইফেল এবং আরপিজি লঞ্চার উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলো পরবর্তীতে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে গাজায় প্রায় ১০০ দিনের সংঘাতে ১০ হাজারের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। গাজা উপত্যকার মোট শিশুর এক শতাংশই সংঘাতের বলি হয়েছে। সেভ দ্য চিলড্রেনের নতুন এক রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ থেকে বেঁচে যাওয়া শিশুরা শারীরিক আঘাত, অগ্নিদগ্ধ, বিভিন্ন রোগ, অপর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা এবং তাদের বাবা-মা এবং অন্যান্য প্রিয়জনকে হারানোসহ নির্মম ভয়াবহতা সহ্য করছে।
হাজার হাজার আহত শিশুর মধ্যে কমপক্ষে এক হাজার শিশু একটি বা দুই পা-ই হারিয়েছে। সংস্থাটির কর্মকর্তা জেসন লি আল জাজিরাকে বলেন, এগুলো কেবল সংখ্যা নয়। এই প্রতিটি সংখ্যাই এক একটি শিশু।