রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। সেইসঙ্গে দাম বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি, চালসহ কিছু সবজির। তবে কমেছে আলুর দাম। এছাড়া অপরিবর্তীত রয়েছে তেল, ডাল, ডিম, চিনি।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, চিকন বেগুন ৩০-৩৫ টাকা থেকে লফিয়ে হয়েছে ৭০ টাকা, মাঝারি এবং গোলবেগুন ৪০-৫০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা।
এছাড়া প্রতিকেজি টমেটো আগের মতোই ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, করলা ৭০-৭৫ টাকা থেকে বেড়ে ৮০-৯০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১০-১৫ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৫৫০-৬০০ টাকা, প্রতিপিস লাউ (আকারভেদে) ৪০-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা, ধনেপাতা ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালির দাম ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩৫-৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিপিস ২০-২৫ টাকা, ফুলকপির কেজি ২০-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০-৫০ টাকা, মুলা ১০-১৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০-২৫ টাকা, দেশি রসুন গত সপ্তাহের মতোই ৩০০-৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটির দাম বেড়ে ১৫ থেকে ২৫ টাকা হয়েছে।
মুলাটোল বাজারের সবজি বিক্রেতা আব্দুল আজিজ জাগো নিউজকে বলেন, বাজারে বেগুনের আমদানি কমে গেছে। হঠাৎ তিন দিন আগে থেকে দাম লাফিয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। এছাড়া শীতকালীন বেশ কিছু সবজির দামও বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা চিনি গত সপ্তাহের দরেই ১৪৫-১৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫-৬০ টাকা, খোলা আটা ৫০ টাকা, ছোলাবুট ৯৫-১০০ টাকা, প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা, মসুর ডাল (মাঝারি) ১২০ টাকা, চিকন ১৩৫-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৭০-১৮০ টাকা এবং বুটডাল ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এছাড়া পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি গত সপ্তাহের দরেই ৪০-৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আসা নতুন কার্ডিনাল আলুর দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, শিল ১০০-১১০ টাকা থেকে কমে ৬০-৭০ টাকা, বগুড়ার সাদা পাকরি আলু ৫৫-৬০ টাকা থেকে কমে ৫০ টাকা এবং ঝাউ আলু ৮০ টাকা থেকে কমে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা এবং দেশি আদা ২৩০-২৪০ টাকা।
মুরগি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে ১৮০-১৯০ টাকা থেকে হয়েছে ২০০-২১০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০-৩১০ টাকা, পাকিস্তানি হাইব্রিড ২৭০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৪০-৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস আগের মতোই ৬৫০-৭২০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা রেজাউল মিয়া বলেন, মুরগির বাজার ওঠানামা করছে। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৭৩ টাকা এবং দুই লিটার ৩৪৬ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা (মোটা) চাল গত সপ্তাহের মতোই ৪৮-৫০ টাকা বিক্রি হলেও পাইজাম ৫৩-৫৫ টাকা থেকে বেড়ে ৫৮-৬০, জিরাশাইল ৫৮-৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬২-৬৫ টাকা, বিআর-২৮ ৬৩-৬৫ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫-৬৮, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৭২-৭৫ টাকা এবং নাজিরশাইল ৭৮-৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৮১-৮৫ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সিটি বাজারের চাল বিক্রেতা সোলায়মান আলী বলেন, ভরা মৌসুমে চালের বাজার অস্থীর করে তুলেছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা চাল কেনার ওপর ভিত্তি করে বিক্রি করি। বেশি দামে কিনলে বেশি দামে বিক্রি করতে হয়।
এদিকে মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩৫০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২০০-২২০ টাকা, পাঙাস ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।