রবিবার , ২১ জানুয়ারি ২০২৪ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে শিশু ডে-কেয়ার সেন্টারে পরিচর্যা, করা হয়েছে খাদ্য ও চিকিৎসা ব্যবস্থা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জানুয়ারি ২১, ২০২৪ ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

কারাগারের কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তাকে সেবা দেওয়া হচ্ছে। তার খাবার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে ডে-কেয়ার সেন্টারে তার পরিচর্যার করা হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

এ বিষয়ে আজ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে কারাগারের কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুর শারীরিক ও মানসিক উন্নয়ন নিশ্চিতে বিধি বা নীতিমালা বা প্রবিধান তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। বিধি বা নীতিমালা বা প্রবিধান তৈরি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবেদনটি এসেছে আদালতে।

গত ৩০ নভেম্বর ‘ফাঁসির সেলে কেমন আছে ১০ মাসের মাহিদা’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হবিগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের এক মামলায় মায়ের মৃত্যুদণ্ডের রায় হওয়ায় তার সঙ্গেই ফাঁসির সেলে আছে ১০ মাসের শিশু মাহিদা।

প্রতিবেদনটি যুক্ত করে শিশুটির জন্য পর্যাপ্ত খাবার, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা পূরণ নিশ্চিতে নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।

আদালতে রিটের পক্ষে তানভীর আহমেদ নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

ওইদিন আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে শিশুটির থাকা, শিশুটির অবস্থা-সম্পর্কিত বিষয়ে তদন্ত করে কারা মহাপরিদর্শক ও হবিগঞ্জের কারা কর্তৃপক্ষকে আগামী ১৮ জানুয়ারি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরবর্তী আদেশের জন্য ২১ জানুয়ারি ধার্য করেন আদালত।

কনডেম সেলে মায়ের সঙ্গে থাকা শিশুটির শারীরিক ও মানসিক উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা মেটাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা, উদাসীনতা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান রিট আবেদনকারী আইনজীবী।

আইনজীবী তানভীর আহমেদ জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব, আইনসচিব, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, কারা মহাপরিদর্শকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।

দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলাটিতে পাঁচ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে গত ২৬ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক জাহিদুল হক। রায় ঘোষণার দিন মা হুছনা আক্তারের সঙ্গে আদালতে এসেছিল তার ১০ মাসের শিশু মাহিদা। রায় ঘোষণার পর মায়ের সঙ্গে মাহিদার জায়গা হয় হবিগঞ্জ কারাগারের ফাঁসির সেলে।

সর্বশেষ - সারাদেশ