রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে নিহত ৪০ জনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আর মর্গে রয়েছে আরও পাঁচজনের মরদেহ। এরমধ্যে এক শিশু ও নারীর কোনো স্বজন এখনো আসেনি। বাকি তিন পুরুষের মরদেহ ডিএনএ টেস্ট করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী নামে এক তরুণীর মরদেহ রয়েছে। তিনি একজন সাংবাদিক।
শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও পাঁচজনের মরদেহ আছে ঢামেকের মর্গে। এরমধ্যে এক শিশু ও এক নারীর লাশ নিতে কেউ যোগাযোগ করেনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে কজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগে। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো সাততলা ভবনের প্রতিটি ফ্লোরে।
প্রাথমিকভাবে ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্ট থেকে আগুন ছড়ানোর খবর শোনা গেলেও, ভবনের নিচের একটি দোকান থেকে আগুন ছড়িয়েছে বলে জানান র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, নিচের একটি ছোট দোকানে প্রথমে আগুন লেগেছিল। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অধিকাংশ মানুষই ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরোধে মারা গেছেন।