খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সরকারি-বেসরকারি সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত কর্মশালায় অভিমত দিয়েছেন ব্যক্তারা।
মঙ্গলবার ঢাকার আগারগাঁওস্থ পিকেএসএফ ভবনে ‘উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কৃষি, কৃষক ও পিকেএসএফ’ শীর্ষক একটি কর্মশালা ও দিনব্যাপী কৃষিপণ্য প্রদর্শন অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সমন্বিত কৃষি ইউনিটের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. দেবাশীষ সরকার বাংলাদেশের কৃষি খাতে ফসল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সমন্বিত ব্যবহার নিশ্চিত করে কৃষির উদ্ভাবনগুলোকে ব্যাপক পরিসরে মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি কৃষি খাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের কৃষি বিষয়ক কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও কৃষি গবেষণায় সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
পিকেএসএফ-এর চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেন বলেন, পিকেএসএফ দীর্ঘদিন যাবত এ ইউনিটের আওতায় কৃষিজ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের সুবিধাবঞ্চিত প্রান্তিক, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি খামারিদের, বিশেষত নারীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন সক্ষমতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পিকেএসএফ-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নমিতা হালদার এনডিসি পিকেএসএফ-এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সূচনার ইতিহাস তুলে ধরে জানান, এ ইউনিটের মাধ্যমে পিকেএসএফ কৃষি খাতে উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং টেকসই উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
কর্মশালায় দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আগত কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের বক্তারা সব পক্ষকে সম্মিলিতভাবে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দেশের কৃষিজ উন্নয়নে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ দিনব্যাপী কৃষিপণ্য প্রদর্শনীতে পিকেএসএফ-এর ‘সমন্বিত কৃষি ইউনিট’-এর আওতাভুক্ত মাঠ পর্যায়ের সহযোগী সংস্থাসমূহ বিভিন্ন ধরনের কৃষিপণ্য প্রদর্শন করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজ এলাকার কৃষকদের উৎপাদিত ফসল, মাছ, মাংস, দুগ্ধজাত, হিমায়িত ও অন্যান্য পণ্যের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।