বৃহস্পতিবার , ৭ মার্চ ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

সব কিছুর হিসাব সরকারকে দিতেই হবে : ফারুক

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মার্চ ৭, ২০২৪ ৪:১৪ অপরাহ্ণ

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক ক্ষমতাসীন সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আমরা খাতায় লিখে রাখছি, হিসাব-নিকাশ আমাদের কাছেও আছে। ১৫ বছর অত্যাচার করেছেন, জেলখানায় ১৫ জনকে মেরে ফেলেছেন, অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম করেছেন, ২৯ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পুরেছেন। সব কিছু আমাদের মনে আছে।’

আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ও বিদ্যুৎ জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবি’ শীর্ষক এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপা।জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনী প্রহসন দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে। এতে হতাশ হওয়ারও কিছু নেই। দ্বাদশ সংসদ বাতিল ও এক দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলছে।

সুতরাং এ নির্বাচন ও নতুন সরকার দেশে-বিদেশে কোনো গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে।’গত বছর তিনবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির পরও এই ফ্যাসিবাদী সরকার কোন যুক্তিতে আবার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করছে, তা বোধগম্য নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি মানে কলকারখানার উৎপাদন খরচ,  জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি। সাধারণ মানুষ এখন দুই বেলা দুই মুঠো ভাত খেতে হিমশিম খেতে হয়, সেখানে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি করলে সাধারণ জনগণ কিভাবে বাঁচবে? এ ব্যাপারে সরকারের কোনো চিন্তাভাবনা নেই।

কারণ এই সরকার একটি গণবিচ্ছিন্ন সরকার। জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে তারা ক্ষমতায় এসেছে। এ জন্য দেশের জনগণের উন্নয়ন কখনো তাদের মাধ্যমে হবে না।ফারুক গত ১৫ বছর ধরে আমরা সরকারকে বলে আসছি, গরিব মানুষ যাতে পেট ভরে খেতে পারে, সচ্ছল মানুষ যেন রোজার সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কিনতে পারে। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করে না, নিজেদের হালুয়া রুটি-ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য যা যা দরকার তাই করে।

কারণ তারা চায় না বাংলাদেশের মানুষ সুখে থাকুক, তারা চায় না বাংলাদেশের মানুষ পেট ভরে দু’বেলা ভাত খাক। তারা শুধু চায় এমন একটি নির্বাচন, যে নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য তৈরি করা হবে, যারা ব্যবসাবান্ধব হবে। ব্যবসায়ী হবে, সরকারকে টাকা দেবে।জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, গণদলের এ টি এম গোলাম মাওলা, জাগপার ডা. আওলাদ হোসেন শিল্পী, কৃষক দলের এস এম জাহাঙ্গীর আলম, যুব জাগপার সভাপতি মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।

সর্বশেষ - সারাদেশ