নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘প্রবাসীরা কষ্ট করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। সেই টাকা খরচ করে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন নিজেদের বিত্তবৈভব বাড়াচ্ছে। আর প্রবাসীরা কোথায় মারা গেলেন, এয়ারপোর্টে হয়রানি হলেন কি না তার কোনো খবর রাখছে না। প্রবাসীদের ভালো-মন্দ দেখার মতো সেই রাষ্ট্র আমরা তৈরি করতে পারিনি, এমন মানবিক রাষ্ট্র আমরা এখনো গড়ে তুলতে পারিনি।’
রোববার (১০ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
‘দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়, প্রবাসীদের ভাবনা, সংকট ও সুরক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিদ্যুৎসহ সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার ও তার মন্ত্রীরা ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় যারা আছে তারা সাধারণ মানুষকে ভালোবাসে না। এখানে যারা অন্ধ, তারাই সবচেয়ে বেশি চোখে দেখে। বলে খেজুর খাওয়ার দরকার নেই বরই খাও। তার তো রাখাল হওয়ারও যোগ্যতা নেই, সে মন্ত্রী হয়ে বসে আছে।’
সরকারের সমালোচনা করে মান্না বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মজুত করে তাদের গণপিটুনি দাও। কিন্তু যারা দামের প্রতিবাদ করেছেন তাদেরই গণপিটুনি দিয়েছে। জেলখানায় মানুষ মারা যাচ্ছে, সরকার বলছে জন্মালে তো মরবেই। বাজারে আগুন লেগেছে সরকার কিছুই করতে পারবে না। ৭-৮টা কোম্পানি আমদানি না করলে বাজার খালি।’
অনুষ্ঠানে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে গতকাল সর্বনিম্ন জাহাজ এসেছে। তারমানে আমদানি কমছে। আমদানি কমছে মানে বৈদেশিক মুদ্রা নেই। যদিও সরকার অটোপাস করার পর কেউ কেউ বলছে রিজার্ভ আগের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে। যদিও আমরা সঠিক কোনো তথ্য পাচ্ছি না।’
গণঅধিকার পরিষদের (একাংশের) সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমিকদের মতো এত সস্তা শ্রমিক পৃথিবীর কোথাও পাওয়া যায় না। বিদেশে গিয়েও তারা হয়রানি, নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। আমরা যদি বলতে পারতাম, আমাদের একজন শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা আর শ্রমিক পাঠাবো না। তাহলে আমাদের শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত হতো।’