দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়াজ ও ইফতার মাহফিল বন্ধের নীতি এবং ভূমিকার নিন্দা জানিয়ে এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেছেন, সরকারের এ ধরনের পদক্ষেপ সাম্প্রদায়িক উস্কানির শামিল।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীতে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন বিজয়-৭১ চত্বরে মাসব্যাপী গণইফতার কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের চরম অর্থনৈতিক সংকটকালে অসহায় সমস্যাগ্রস্ত মানুষদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবার বিতরণের মডেল কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এবি পার্টি। প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ অসহায় মানুষকে ইফতারের সময় এ খাবার দেওয়া হবে। মঙ্গলবার প্রথম দিনে বিজয়-৭১ চত্ত্বরে সমবেত মানুষ এবং কয়েকটি মসজিদের মুসল্লিদের মাঝে এ খাবার বিতরণ করা হয়।
এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী বলেছেন, রমজানে আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া-পড়শি একসঙ্গে বসে ইফতার করা আমাদের ঐতিহ্য। ইফতার মাহফিলগুলোতে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির চর্চা ও নসিহতমূলক আলোচনা হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বর্তমান ডামি সরকার ইফতার মাহফিলের ব্যাপারে নোয়াখালী ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ কোথাও কোথাও দমনমূলক নীতি গ্রহণ করেছে।
বিভিন্ন ছুতায় ইফতার ও ওয়াজ মাহফিল বন্ধ করে দেওয়া ভয়ানক ষড়যন্ত্র বলে মনে করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক। তিনি বলেন, হাজার কোটি টাকা পাচার নিয়ে সরকারের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। কিন্তু, ইফতার ও ওয়াজ মাহফিলের প্রসঙ্গ আসলে তারা ব্যয় সংকোচনের কথা ভাবেন। এটা স্পষ্টত সাম্প্রদায়িক বৈষম্য ও উস্কানি বলে আমরা মনে করি।
গণইফতার অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন—নেজামে ইসলাম পার্টির নির্বাহী সভাপতি মাওলানা আশরাফুল হক, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান প্রমুখ।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন—এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক বিএম নাজমুল হক, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইয়া, আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, যুব পার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন ও সদস্য সচিব সেলিম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব কেফায়েত হোসেন তানভীর, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হালিম নান্নু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিপন মাহমুদ, মশিউর রহমান মিলু, আমেনা বেগম, শাহীনুর আক্তার শীলা, রুনা হোসাইন, ছাত্রপক্ষের আহ্বায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, ছাত্রনেতা হাসিবুর রহমান খান, পল্টন থানা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মুন্সি, যাত্রাবাড়ী থানা কমিটির সমন্বয়ক সিএম আরিফসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর কমিটির নেতাকর্মীরা।
