সোমবার , ১৮ মার্চ ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

সাভারের ‘গজাইরার বিল’ পুনরুদ্ধার ও রক্ষার নির্দেশ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
মার্চ ১৮, ২০২৪ ৪:৩৪ অপরাহ্ণ

ঢাকার সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ইউনিয়নে অবস্থিত ‘গজাইরার বিলে’ আবাসন কোম্পানির মাটি ভরাট, প্লট বিক্রয়সহ সব কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে এ নির্দেশ প্রতিপালন করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য রাজউক চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

অন্তবর্তীকালীন এ আদেশের পাশাপাশি আদালত উত্তরণ প্রপার্টিজ লিমিটেড ও অ্যাচিভ করপোরেশন নামক দুটি আবাসন কোম্পানি কর্তৃক মাটি ভরাট থেকে ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইছরকান্দি, মনোসন্তোষ ও সাতাইশকান্দি মৌজায় অবস্থিত মূল বন্যাপ্রবাহ এলাকা রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ, আইনবহির্ভূত ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।

আইন, বিধি ও পরিকল্পনা অনুযায়ী উল্লিখিত মূল বন্যাপ্রবাহ এলাকা পুনরুদ্ধার ও রক্ষার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার (১৮ মার্চ) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ বেলা’র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আশরাফ আলী। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট এস. হাসানুল বান্না। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

সাভারের ইয়ারপুর ইউনিয়নের ইছরকান্দি, মনোসন্তোষ ও সাতাইশকান্দি মৌজায় প্রায় ৬০০ একর আয়তনের একটি বিল রয়েছে যা স্থানীয়ভাবে ‘গজাইরার বিল’ নামে পরিচিত। বিলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৪ কিলোমিটার। এলাকাটি রাজউকের ড্যাপে মূল বন্যাপ্রবাহ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। বিলটি বর্ষাকালে পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে দৃশ্যত বিশাল এক সাগরে রূপ নেয়। এখনো এ বিলে দেশীয় প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। মৎস্য উৎপাদনের পাশপাশি শীতকালে ফসল ও সবজি চাষ হয় এ বিলে।

বিলটির ওপর নির্ভরশীল প্রায় ১৪ গ্রামের কৃষক ও মৎসজীবী। বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এ বিল বর্তমানে নানামুখী হুমকির সম্মুখীন। নির্বিচারে এ বিলের জলাশয় ও কৃষি উপযোগী নিচু জমি ভরাট করা হচ্ছে আবাসন প্রকল্পের জন্য। এরই মধ্যে উত্তরণ প্রপার্টিজ লিমিটেড নামক আবাসন কোম্পানি বিলের ইছরকান্দি, মনোসন্তোষ ও সাতাইশকান্দি মৌজায় প্রায় ২৫০ বিঘা এবং অ্যাচিভ করপোরেশন বিলের সাতাইশকান্দি মৌজায় প্রায় ২২০ বিঘা উর্বর জমিতে কোম্পানির সাইনবোর্ড স্থাপন করেছে যার কোনোটিরই নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বৈধ অনুমোদন।

জলাশয় রক্ষায় বিদ্যমান আইনের বিধান লঙ্ঘন করে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া উত্তরণ প্রপার্টিজ ও অ্যাচিভ করপোরেশন কর্তৃক জলাশয় ভরাট বন্ধে ও বিলটি সংরক্ষণে বেলা রিট দায়ের করে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক, ঢাকার পুলিশ সুপার, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ, পরিবেশ অধিদপ্তর, ঢাকা জেলার উপ-পরিচালক, সাভার উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উত্তরণ প্রপার্টিজ লিমিটেড ও অ্যাচিভ করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মামলা বিবাদী করা হয়েছে।

সর্বশেষ - সারাদেশ