ঈদের বকি আর মাত্র দুই সপ্তাহ। দিন যত গড়াচ্ছে রাজশাহীর ঈদ বাজার ততই জমে উঠছে। বিশেষ করে থ্রি পিস, শাড়ি ও পঞ্জাবী বিক্রি বেড়েছে। এছাড়ও ল্যাহাঙ্গা, ফ্লোর টার্চ, আলিয়া, নায়রা, সিঙ্গেল কোত্তাসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাক সহজেই ক্রেতাদের নজর কাড়ছে। আর দাম এখন পর্যন্ত সাধ্যের মধ্যে রয়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজার তত জমে উঠছে। প্রতিদন গড়ে ৭০ থেকে ৮০ কোট টাকার বেচাকেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
বেচা-বিক্রি বাড়তে থাকায় নগরীর শপিং মল থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিপণনি বিতানগুলো যেনো সেজেছে নতুন রূপে। ক্রেতাদের টানতে মার্কেটগুলোতে বাহারি রংয়ের বিভিন্ন ডিজাইনের নায়রা, আলেয়া, সিঙ্গেল কোত্তা, ফ্লো-টার্চসহ ভারতীয় বিভিন্ন ল্যাহেঙ্গার আধিক্য রয়েছে।ক্রেতারা বলছেন, দেশী-বিদেশি যাই হোক ঈদে চাই পছন্দের পোশাক। কিন্তু তা হতে হবে সাধ্যের মধ্যে। শুধু মার্কেট নয়, বিভিন্ন দেশীয় ব্র্যান্ডের আউট লেটেও যাচ্ছেন ক্রেতারা। শুধুমাত্র দেশীয় পোশাকের টানে।
রাজশাহী নগরীর আলুপট্টি মোড়ে আড়ং ফ্যাশানে কেনাকাটা করতে এসেছেন মাসুদা খাতুন। তিনি বলেন, ইন্ডিয়ান বা অন্য পোশাকগুলো সবাই আনতেই পারে। কিন্তু দেশীয় পণ্যগুলো মূলত একটি কোম্পানির এক একটি আলাদা ডিজাইন থাকে। ইউনিক হয়। তাই এখানেই কিনতে এসেছি। ভালোও লাগছে। দামও সমর্থের মধ্যে।
লারিভ ফ্যাশানে ক্রেতা ইমন হোসেন বলেন, দেশীয় পণ্য বেশ সুন্দর হয়। এছাড়াও পরিধান করেও বেশ স্বাচ্ছন্দ্য লাগে। তাই দেশীয় পণ্যের উপরেই ঝুঁকেছি। এবার দেশীয় পণ্যেই ঈদ করবো।
ক্রেতা চাহিদা মাথায় রেখে বিদেশি পোশাকের পাশাপাশি দেশীয় আউট লেটগুলোতে শোভা পাচ্ছে, লং কামিজ, আবায়া, নাগিসাস, টারকিস, যা ক্রেতাদের বেশ আকৃষ্ট করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গ্রামীণ চেক রাজশাহী শাখার ম্যানেজার শামসুল হক বলেন, গ্রামীণ চেক বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে এবার। দেশীয় ডিজাইনের উপর বেশ কিছু শাড়ি আনা হয়েছে। ব্যবসাও বেশ ভালো হচ্ছে।
দর্জি বাড়ি ফ্যাশানের ম্যানেজার ফাইসাল হোসেন বলেন, দেশীয় ফ্যাশন হিসেবে এবার অনেক কিছু এসেছি। আশা করছি বেশ ভালো ব্যবসা হবে। আমাদের যে টার্গেট তা পূরণ করতে পারবো। বেশ সাড়া পাচ্ছি।
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দোর আলী বলেন, ঈদের কেনাকাট জমে উঠেছে। দিন যত এগোবে ব্যবসার হার তত বাড়বে। এবার ৫০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হবে বলে আশা করছি। এখন গড়ে প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ কোট টাকার বেচাকেনা হচ্ছে।