ঈদুল ফিতরের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানী ঢাকা। তাতে অনেকটাই ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে রাজধানীর বাজারগুলো। তেমনি রাজধানীর সবচেয়ে বৃহৎ পাইকারি বাজার ও ফলের আড়ত যাত্রাবাড়ীতে তরমুজের সরবরাহ নেই বললেই চলে। যে কয়েকটি দোকানে তরমুজ আছে তাতে দাম হাঁকছে বেশি। আমদানি না থাকায় ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে ফলের আড়ত। নেই চিরচেনা কোলাহল, নেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁক-ডাক। বন্ধ বেশিরভাগ দোকান। অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দু-একদিনের মধ্যেই রসালো ফল তরমুজের সরবরাহ বাড়বে বলে দাবি করছেন তারা।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের ফলের আড়ত ও আশপাশের এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মূলত চাঁদরাতে বেচাকেনা শেষে বিক্রেতারা পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি চলে যান। বাড়ি চলে যাবেন- সে কারণে চাঁদরাতে অনেকটা কম দামে তরমুজ বিক্রি করেন তারা। তবে ঈদের পরদিন তরমুজের সরবরাহ কম থাকায় দাম সামান্য বেড়েছে। যদিও আগের থেকে খুব বেশি পার্থক্য নেই বলে দাবি করছেন ব্যবসায়ীরা।
কয়েকজন তরমুজ ব্যবসায়ী ও ফল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন তরমুজ সস্তা ছিল। বুধবার (১০ এপ্রিল) ছিল শেষ রমজান। রমজানের শুরুর দিকে বেশি দামে বিক্রির পর রোজার শেষদিকে কমেছে রসালো ফল তরমুজের দাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বাজারে তরমুজের সরবরাহ না থাকায় আজ আড়তে নেই বললেই চলে। বিশাল আরতের দুই থেকে তিনটি দোকানে তরমুজ দেখা যায়।
শুক্রবার যাত্রাবাড়ী ফলের আড়তে প্রতি পিস বড় (আনুমানিক ৫-৭ কেজি) তরমুজ ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা যায়। এদিকে মাঝারি সাইজের প্রতি পিস তরমুজ ১৮৫ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও তরমুজের সংখ্যা ছিল খুবই কম। যাত্রাবাড়ী বাজারের তরমুজের আড়ত ছিল প্রায় ফাঁকা।
তরমুজ বিক্রেতা মো. কামাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ঈদের আগের কিছু তরমুজ ছিল, সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছি। ঈদের দিন বিকেল ও পরদিন থেকে ফলের দোকানগুলো খোলা শুরু করেছে, যে কারণে তরমুজ ও অন্যান্য ফল বিক্রি শুরু হয়েছে। এদিকে ভারতের কোনো ফল আসেনি। সে কারণেও সরবরাহ কম। এছাড়া ঈদের কারণে কাজের লোক কম থাকায় ক্ষেত থেকে তরমুজ সংগ্রহ করতে পারছেন না চাষিরা। আশা করি দু-একদিনের মধ্যে তরমুজের সরবরাহ বেড়ে যাবে।’
তবে দাম খুব বেশি হেরফের হয়নি দাবি করে টিকাটুলির রাজধানী মার্কেটের খুচরা বিক্রেতা রনি বলেন, ‘গত সপ্তাহের প্রতিদিনই বাজারে ভরপুর তরমুজ ছিল। এখন ৫০০ তরমুজও পাওয়া যাবে না। আগে আট কেজির তরমুজ ৪০০ টাকায়, পাঁচ কেজি ওজনের প্রতি পিস ২০০ টাকায় বিক্রি করেছি। এখন খুব বেশি না, ২০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।
তবে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিক্রেতারা আকারভেদে প্রতিটি তরমুজের দাম ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকা হাঁকছেন।