সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

বাংলাদেশেও ভালো মানের লেগস্পিনার তৈরি সম্ভব: শাহেদ মেহমুদ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
এপ্রিল ২৯, ২০২৪ ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের ক্রিকেটে আগামীতে লেগস্পিনার উঠে আসবে কিনা? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে চমক দেখানো রিশাদ হোসেনের দেখা মিলবে কিনা? সেই কৌতুহলী প্রশ্ন এখন অনেক ক্রিকেটঅনুরাগীর মুখে-মুখে।

দেশের ক্রিকেটে নতুন নতুন লেগস্পিনার গড়ে তোলার কাজে যাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, সেই পাকিস্তানি লেগস্পিন কোচ শাহেদ মেহমুদ কীভাবে গেম ডেভেলপমেন্টের দায়িত্ব পেলেন, তার কাজকর্ম কেমন চলছে? তিনি আসলে কী করছেন? সে সম্পর্কে জানার আগ্রহও আছে অনেকের।

শাহেদ মেহমুদের মুখ থেকেই শোনা যাক, বর্তমান শতাব্দীর প্রথম দিকে (২০০২-০৩ সালে) শেষবার বাংলাদেশে প্রিমিয়ার লিগ ও জাতীয় লিগ খেলে যাওয়ার ২১-২২ বছর পর এবার কোচ পরিচয়ে কীভাবে আসলেন, সেই চমৎকার গল্প।

তিনি কীভাবে কাজ করবেন, বাংলাদেশে প্রতিভাবান লেগস্পিনার আছে কিনা, ইত্যাদি নানান বিষয় শাহেদ মাহমুদ ব্যাখ্যা করেছেন নিজের মুখে।

জাগো নিউজের পক্ষ থেকে ঢাকায় বনানীতে অবস্থানরত শাহেদ মেহমুদের কাছে এসব প্রশ্ন রাখা হয়েছিল। একান্ত আলাপকালে সেসব কৌতুহলী প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ৪৮ বছর বয়সী শাহেদ মেহমুদ।

শাহেদ মাহমুদের ভাষায়, ‘গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজন ভাই আমার খেলোয়াড়ী জীবনের বড় ভাই। আমি মোহামেডান ও ব্রাদার্স ইউনিয়নে তার সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে একই দলের হয়ে খেলেছি। তিনি আমাকে খুব কাছ থেকে দেখেছেন। আমি কী পারি, লেগস্পিনার হিসেবে আমার মান, মেধা, মনন ও প্রজ্ঞা কী- সবই সুজন ভাইয়ের খুব ভালো জানা।’

পাকিস্তানি এই কোচ আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়ী জীবনে তিনি (সুজন) কয়েকবার আমার দলের অধিনায়কও ছিলেন। আমার সামর্থ্য সম্পর্কে সুজন ভাইয়ের পরিষ্কার ধারণা আছে। তাই তিনি আমাকে অফার করেছেন গেম ডেভেলপমেন্টের তৃণমূল পর্যায়ে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে লেগস্পিনার খুঁজে বেড়ানোর কাজ করতে। লেগস্পিনার ট্যালেন্ট হান্ট করে তাদের সঠিক পরিচর্যার দায়িত্বটা তিনি অনেক আস্থা রেখে আমার ওপর দিয়েছেন।’

শাহেদ মাহমুদ বলেন, ‘গেম ডেভেলপমেন্টের স্পিন কোচি হিসেবে আমি বাংলাদেশে এসেছি গত বছরের সেপ্টেম্বরে। আমি যখন আসি, তখন বাংলাদেশ জাতীয় যুব দল বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল। আমি সেই অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে ৪ মাস কাজ করি। তারপর ৬ মাসে রাজধানী ঢাকা, দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর, সৈয়দপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশালসহ আমি ১১ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে কাজ করার চেষ্টা করেছি।’

‘বিসিবি আমাকে সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে। সুজন ভাই এবং এবং বিসিবি সিইও সহ সবাই আমাকে ভালোবাসেন। আমাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন। লেগস্পিনারের খোঁজে আমি এরইমধ্যে অনেকগুলো জেলার আনাচে-কানাচের অনেক জেলা ঘুরেছি। বিভিন্ন বয়সী লেগস্পিনারদের দেখেছি। তাদের মধ্যে ৮০ জনকে মনোনীত করা হয়েছে। আমি বাংলাদেশের কৃষ্টি, কালচার ও ফুড সম্পর্কে জানি। এখানে থাকা ও খাওয়া নিয়ে আমার কোনো সমস্যা হয় না।বাংলাদেশে খেলোয়াড়ী জীবনের মতো বর্তমান সময়টাও খুব উপভোগ করছি’-যোগ করেন শাহেদ মাহমুদ।

যেসব তরুণদের খুঁজে বের করেছেন, তাদের মধ্যে কি সম্ভাবনাময় লেগস্পিনার আছে?

এমন প্রশ্নের জবাবে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে শাহেদ মেহমুদ বলেন, ‘অবশ্যই আছে। আপনি দেখেন, আগামীতে আমরা ইনশাল্লাহ কোয়ালিটি (মানসম্পন্ন) লেগস্পিনার পাবো। আমাকে যে কাজের দায়িত্ব দিয়ে আনা হয়েছে, ইনশাল্লাহ আমি সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। আমার সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, আমরা আগামীতে কয়েকজন দক্ষ লেগস্পিনারের দেখা পাবো।’

বলা হয়, বাংলাদেশে রিস্ট-স্পিনারের খুবই অভাব। আসলে কি দক্ষ লেগস্পিনার বেরিয়ে আসবে বাংলাদেশে?

আশাবাদী কণ্ঠে শাহেদ মেহমুদ বলেন, ‘কেন আসবে না? বাংলাদেশে সাকিব (সাকিব আল হাসান), রফিকের (মোহাম্মদ রফিক) মতো বিশ্বমানের বাঁহাতি স্পিনারের জন্ম হয়েছে। বেশ কয়েকজন ভালো মানের অফস্পিনারও আছে। কিন্তু সে মানের লেগস্পিনার তৈরি হয়নি। তার মানে এই নয় যে, লেগি নেই। আছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এদেশে ক্লাব ও ফার্স্ট-ক্লাস ক্রিকেটেও বাঁহাতি স্পিনারদের কদর খুব বেশি। অফস্পিনারও আছে প্রতি ক্লাব ও দলে। কিন্তু সে তুলনায় লেগস্পিনার নেই। লেগস্পিনার খেলানোর মানসিকতাই কম এখানে। এই মানসিকতা পাল্টানো খুব দরকার।’

তিনিও আরও বলেন, ‘ক্লাব পর্যায়ে লেগস্পিনারদের আরও বেশি করে পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। বিসিবি লেগি তৈরির কাজ শুরু করেছে। বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি লেগস্পিনার ট্যালেন্ট হান্ট করে তাদের যথাযথ পরিচর্যার উদ্যোগ নিয়েছে। আশা করি সফল হবো। আমার আদর্শ মুশতাক ভাই (মোশতাক আহমেদ) এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের স্পিন কোচ হয়ে এসে গেছেন। মুশি ভাই গ্রেট লেগস্পিনার। আমার মেন্টর। তার গাইডেন্সে (দিকনির্দেশনায়) এদেশের লেগিদের বেড়ে ওঠা ও পরিচর্যাটা হবে খুব ভালো। আশা করছি, আমরা আগামীতে রিশাদ হোসেনের মত লেগস্পিন গুগলি বোলার বের করতে পারবো।’

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত