বৃহস্পতিবার , ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তার চাকরিচ্যুতির আপিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জানুয়ারি ১৯, ২০২৩ ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করে সরকারের সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। এ সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৩২ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। ছয় বিচারপতির দেওয়া এ রায়টি লিখেছেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

২০০৫ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে অস্থায়ীভাবে নির্বাচিত করা হয়। চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে এ নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক ওঠার পর ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে তাদের প্রত্যেকের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরমধ্যে অনুত্তীর্ণ ৮৫ জনকে ওই বছরের ৩ সেপ্টেম্বর চাকরিচ্যুত করা হয়।

এর বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত প্রার্থীরা মামলা করলে ২০০৯ সালের ২৩ মার্চ তা খারিজ করে রায় দেন প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল। এর বিরুদ্ধেও তারা আপিল করেন। সেটি মঞ্জুর করে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল তাদের চাকরিতে পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বারজজ আদালত ২০১০ সালের ২৯ এপ্রিল আপিল ট্রাইব্যুনালের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে সরকারপক্ষ পৃথক আপিল করে।

২০২২ সালের ২৮ আগস্ট প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষ হয়। এসব আপিলের শুনানি শেষে ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর রায় দেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

রায়ে ওই ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে প্রায় এক যুগ আগে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া সিদ্ধান্ত বাতিল করেন। এতে ওই ৮৫ কর্মকর্তা আর চাকরি ফেরত পাবেন না।

আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) মোরশেদ, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অবন্তী নুরুল।

অন্যদিকে চাকরিচ্যুত নির্বাচন কর্মকর্তাদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন দোলন ও অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান মোস্তফা, অ্যাডভোকেট অনীতা গাজী রহমান ও অ্যাডভোকেট শুভ্র চৌধুরী।

সর্বশেষ - সারাদেশ