শুক্রবার , ২০ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘হলে থাকার চাঁদা’ চেয়ে ছাত্রলীগ নেতার হুমকি-মারধর, ভয়ে হল ছাড়লেন শিক্ষার্থী

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জানুয়ারি ২০, ২০২৩ ৭:৫৭ পূর্বাহ্ণ

জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা তাজবিউল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে যে ধরনের অভিযোগ এসেছে, এটা মিথ্যা ও বানোয়াট। হল সাধারণ সম্পাদক রুপম ইসলাম তাঁকে দিয়ে এই ষড়যন্ত্র করাচ্ছেন। তিনি ওই কক্ষে যাননি। টাকাপয়সা নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।

ছাত্রলীগের ছায়া প্রশাসন–মন্ত্রিপাড়া ও নব্য জমিদারিবিলাস

ছাত্রলীগের ছায়া প্রশাসন–মন্ত্রিপাড়া ও নব্য জমিদারিবিলাস

হলের সাধারণ সম্পাদক রুপম ইসলাম বলেন, তিনি শীতকালীন ছুটি শেষে রাজশাহীতে এখনো ফিরেননি। তাঁর বাবা অসুস্থ। তাঁকে নিয়েই দৌড়াদৌড়ির মধ্যে আছেন। তিনি গতকাল রাতে একজনের ফোনের মাধ্যমে শুনেছেন হলের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়েছে। কে মেরেছেন, সেটা তিনি শোনেননি। তিনি রোববার রাজশাহীতে ফিরে এ নিয়ে কথা বলবেন।

হল প্রাধ্যক্ষ মো. রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন। তিনি তাঁর বিভাগে পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন করছেন। দুপুরে তিনি এ বিষয়ে হলে জরুরি সভা ডেকেছেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে হল সভাপতি তাজবিউল হাসান  অনুসারীদের নিয়ে তাঁর কক্ষে প্রবেশ করে ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক সেই টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে তাঁর ম্যানিব্যাগে থাকা ৩ হাজার ৭৭৫ টাকা জোর করে ছিনিয়ে নেন। তাঁর বাসায় ফোন দিয়ে বাকি টাকা তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা করে বিকাশে নিতে বলেন। তখন সামিউল বলেন, ‘ভাই আমার বাবা নেই, আমি খুবই নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। আমি টিউশনি করে আমার লেখাপড়ার খরচ চালাই। আমার পরিবারের খরচ চালানোর জন্য নিজের কষ্টে অর্জিত টাকা পাঠানোর চেষ্টা করি।’

ছাত্রলীগের মারধরে কানের পর্দা ফেটে গেছে সেই শিক্ষার্থীর

শিক্ষার্থীকে কক্ষে আটকে নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেতার শাস্তির দাবিতে শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ। গত রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে

সামিউল ইসলামের ভাষ্য অনুযায়ী, তাঁরা কোনো কথাই শুনতে চায় না। টাকা দিতে না পারায় তাজবিউল তাঁর মা-বাবা তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে গায়ে হাত তোলেন। এরপর তাজবিউলের অনুসারীরা তাঁকে মেঝেতে ফেলে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারতে থাকেন। যাওয়ার আগে শুক্রবারের মধ্যে বাকি টাকা দিতে না পারলে দুপুরের মধ্যে হল থেকে চলে যেতে বলেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। হুমকি দিয়ে তাঁরা বলেন, ‘এসব বিষয় কেউ জানতে পারলে তোর লাশও তোর পরিবার খুঁজে পাবে না। এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে যতগুলো মার্ডার (হত্যা) হইছে সব ফাও।’

ছাত্রলীগের মারধর, চাঁদাবাজিতে অভিযোগ হয়, প্রতিকার হয় না

ছাত্রলীগের মারধর, চাঁদাবাজিতে অভিযোগ হয়, প্রতিকার হয় না

দুই মাস আগে তিন হাজার টাকা হল ছাত্রলীগের সভাপতিকে দিয়েছিলেন উল্লেখ করে সামিউল প্রথম আলোকে বলেন, তিনি রাতে ভয়ে হলে থাকেননি। রাত ১২টার দিকে এক বন্ধুর মেসে গিয়ে রাত যাপন করেছেন। তাজবিউলসহ ১৫-২০ জন এসে বিছানা, বইপত্র এলোমেলো করে দিয়েছেন। পরে তিনি হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে বিষয়টি জানিয়েছেন। প্রক্টর বিকেলে দেখা করতে বলেছেন।

ছাত্রলীগের নির্যাতনের প্রতিবাদে রাবিতে এক কাতারে ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক

শিক্ষার্থীকে নির্যাতন ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মানববন্ধন। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে

সর্বশেষ - সারাদেশ