রবিবার , ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

৪০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা নৌকা

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
জানুয়ারি ২৯, ২০২৩ ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

নওগাঁর রাণীনগরের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রক্তদহ বিল। বিলের আশপাশে ৪০টি গ্রামের মানুষের বসবাস। এই মানুষদের চলাচলের একমাত্র ভরসা মেঠো পথের শেষে খেয়াঘাটের নৌকা। বিলে পানি যতদিন থাকে, ততদিন নৌকায় পারাপার আর যখন পানি থাকে না, তখন প্রয়োজনীয় কর্ম সমাধান করতে ৪০-৫০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে নওগাঁ, বগুড়া, রাণীনগর ও আদমদীঘিতে যেতে হয়।

এতে করে বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে জীবনযাপন করে আসতে হচ্ছে এই অঞ্চলের লাখো মানুষদের। কৃষকরা নায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে যুগের পর যুগ। হাজার চেষ্টাতে এই অঞ্চলের মানুষদের ভাগ্যে খেয়াঘাটে একটি ব্রিজ জোটেনি। ফলে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার সুফল থেকেও বঞ্চিত এই কৃষিপ্রধান অঞ্চল।

বোদলা গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান মুহরী জানান, মাধ্যমিক পর্যায়ের একাধিক পাঠ্যবইয়েও এই বিলের ইতিহাস লিপিবদ্ধ আছে। কয়েক হাজার বিঘা জমি নিয়ে এই বিল অবস্থিত। বিলের পূর্বপাশে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কৃষি প্রধান অঞ্চল বোদলা, পালশা, কৃষ্ণপুর, তেবাড়িয়াসহ ৪০টি গ্রাম অবস্থিত। এই মানুষদের সহজেই নওগাঁ, বগুড়া, রাণীনগর, আদমদীঘি, সান্তাহারে চলাচলের সহজপথ হচ্ছে বিলের মধ্য দিয়ে রাস্তা। বিলের মধ্য একটি ব্রিজ না হওয়ার কারণে মেঠোপথ দিয়েই খেয়াঘাটে পারাপার হতে হয়। পারাপারের জন্য খেয়াঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় নৌকার জন্য। এই অঞ্চলের মানুষদের হাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় হাতে বেশি নিয়ে অন্যত্র যেতে হয়। একটি ব্রিজের অভাবে এখনো এই অঞ্চলের মানুষদের প্রাচীন যুগে বসবাস করতে হচ্ছে। দিনের বেলায় ঘাটে এসে নৌকা পাওয়া গেলেও রাতের বেলায় ৪০-৫০ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে এই অঞ্চলের মানুষদের নিজের বাড়িতে ফিরতে হয়। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষার্থী ও জরুরি রোগীদের। অনেক প্রসূতিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে এই খেয়াঘাটে এসেই প্রসব হয়ে যায়।

উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা বাদশা বলেন, এই বিলের একপ্রান্তে শত বছরের ঐতিহাসিক কোসমুড়ির দরগা রয়েছে। যেখানে বিভিন্ন মানত পূরণ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ এসে থাকে। এছাড়াও বর্ষাকালে এই বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক দর্শনার্থীরা এসে থাকেন। তাই এই ঘাটে একটি ব্রিজ হলে এই বিল পর্যটকদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্পট হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। ফলে এখানে অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।

নওগাঁ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার জানা মতে ব্রিজ নির্মাণের সকল প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। সকল বিভাগীয় প্রক্রিয়া শেষে অর্থ বরাদ্দ পেলেই ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। আমি আশাবাদী দ্রুত এই অঞ্চলের মানুষদের শত বছরের স্বপ্নের ব্রিজ নির্মাণের সুখবর দ্রুতই পাওয়া যাবে।

নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, চীনের হুয়াংহু নদীর মতো এই রক্তবিলও এই অঞ্চলের মানুষের জন্য একটি দুঃখ। এই ঘাটে একটি ব্রিজ এই অঞ্চলটিকে আমুল বদলে দিতে পারে। আমিও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে একাধিকবার ব্রিজ নির্মাণের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তাগাদা দিয়েছি। দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের সুখবর পাওয়া যাবে।

সর্বশেষ - সারাদেশ

আপনার জন্য নির্বাচিত

৯ মাসের যুদ্ধের সঙ্গে ২৩ বছরের সংগ্রামের চিত্র তুলে আনার আহ্বান

অটিজম সচেতনতা দিবস ১ এপ্রিল থেকে দুই রাত জ্বলবে নীল বাতি

পাকিস্তানে বন্যায় মৃত্যু হাজার ছাড়ালো, জরুরি সহায়তার আহ্বান

‘আফগানিস্তান কতটা ভয়ঙ্কর জানি’, সতর্ক দ্রাবিড়

ইভ্যালি থেকে বিচারপতি মানিকের নেতৃত্বাধীন বোর্ডের পদত্যাগ

টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে চাপে শ্রীলঙ্কা

মানবতাবিরোধী অপরাধ খুলনার ৯ আসামির যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ৬ নভেম্বর

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম তালিকাভুক্তি নিয়ে রুলের লিখিত আদেশ প্রকাশ

অবসরের পরও ইংল্যান্ড দলের সঙ্গেই থাকবেন অ্যান্ডারসন

জনগণ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্যাংশনস দিয়েছে: সুব্রত চৌধুরী