বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন এবার গড়া হয়েছে ঢাকার বঙ্গভবনের আদলে। এই প্যাভিলিয়নে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের ৪৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রয়েছে জাতীয় সাহিত্য প্রকাশ, কাকলী প্রকাশনী, কবি প্রকাশনী, নালন্দা, আদর্শ, সাহিত্য, দিব্য প্রকাশ, জ্ঞানকোষ প্রকাশনী, ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, পাঠক সমাবেশ, রকমারি ডটকম, গতিধারা, কথাপ্রকাশ, ভাষাচিত্র, প্রথমা প্রকাশন, অনিন্দ্য প্রকাশ, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি., অক্ষর প্রকাশনী, বাতিঘর, অন্যধারা, প্রগতি পাবলিসার্স, মল্লিক ব্রাদার্স, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, ঐতিহ্য, সময় প্রকাশন, প্রিয়মুখ প্রকাশনী, আগামী প্রকাশনী, শব্দশৈলী, অন্যপ্রকাশ, মাওলা ব্রাদার্স, জার্নিম্যান বুকস, ঢাকা টাউন লাইব্রেরি, অনন্যা, ছাপাখানার ভূত, মক্কা পাবলিকেশনস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর উল্লেখযোগ্য।
গতকাল দুপুরে কলকাতার সল্টলেকের করুণাময়ীর সেন্ট্রাল পার্কে এই বইমেলার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বইমেলার আয়োজন করে কলকাতার পাবলিসার্স অ্যান্ড বুকসেলার্স গিল্ড।
গতকাল এই মেলার উদ্বোধন হলেও আজ এই মেলার ৯টি দ্বারই খুলে দেওয়া হয় বইপ্রেমীদের জন্য।

এদিকে আজ বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের দ্বার খুলে দেওয়ার পর প্রচণ্ড ভিড় জমে যায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে। বইপ্রেমী কলকাতার মানুষ বাংলাদেশের বই দেখার জন্য ভিড় জমান বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে। বিশেষ করে বাংলায় বিজ্ঞানভিত্তিক বই, বাংলায় আইন, চিকিৎসাবিজ্ঞানের বই, স্নাতকোত্তর পর্যায়ের বাংলা ভাষার বিভিন্ন বইয়ের প্রতিও চাহিদা রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের সমকালীন সাহিত্য, উপন্যাস, গল্প, কাব্যগ্রন্থেরও খোঁজ নিয়েছেন বইপ্রেমীরা। কিনেছেনও নানা বই আজ এই বইমেলা থেকে।
৪৬তম এই বইমেলা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন এই মেলা শুরু হবে দুপুর ১২টায়। শেষ হবে রাত ৮টায়। বইমেলার এবারের থিম কান্ট্রি স্পেন।

এবারের বইমেলায় ২০টি দেশের প্রকাশকেরা যোগ দিয়েছেন। দেশগুলোর মধ্যে আছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, কিউবা, অস্ট্রেলিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড ইত্যাদি দেশ। থাইল্যান্ড এবার প্রথম এসেছে কলকাতা বইমেলায়।
বড়–ছোট মিলিয়ে এবার বইয়ের স্টল হয়েছে ৯৫০টি।