শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ আট লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারের কাছে পাঠিয়েছে। ওই তালিকা থেকে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রাথমিকভাবে ১ হাজার ১৪০ জনকে বাছাই করা হয়। এর মধ্যে ৭১১ জন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের সম্মতি মিললেও বাকি ৪২৯ জনের ব্যাপারে মিয়ানমারের আপত্তি ছিল। মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি ওই ৪২৯ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাইয়ের জন্য টেকনাফে এসেছেন। টেকনাফ স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে মালঞ্চ সম্মেলনকক্ষে রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে।
আজ বুধবার প্রথম দিনে ৬৫ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাইয়ের কথা রয়েছে। ৪২৯ জন রোহিঙ্গার তথ্য যাচাই শেষ করতে অন্তত ছয় দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ৮ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর। দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছরে একজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হয়নি। কক্সবাজারের আশ্রয়শিবিরে থাকা রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময় দাবি জানিয়ে আসছেন, নাগরিকত্ব না পেলে তাঁরা মিয়ানমারে ফিরে যাবেন না।