বৃহস্পতিবার , ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. উপ-সম্পাদকীয়
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. ক্যাম্পাস
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাপন
  11. তথ্যপ্রযুক্তি
  12. দেশগ্রাম
  13. দেশজুড়ে
  14. ধর্ম
  15. নারী ও শিশু

‘আদম’ সিনেমার প্রচার-প্রদর্শন বন্ধে হাইকোর্টে রিট

প্রতিবেদক
নিউজ ডেস্ক
এপ্রিল ১৩, ২০২৩ ৫:৪০ অপরাহ্ণ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে ‘আদম’ সিনেমার সেন্সর সনদপত্র বাতিল করে প্রদর্শন ও প্রচার বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মো. জামিল হাসানের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. ইসমাঈল হোসেন ভূঁইয়া এই রিট করেন।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, আদম সিনেমার পরিচালক আবু তৌহিদ হিরন, প্রযোজক তামিম হোসাইনসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে। রিটের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন মো. জামিল হাসান।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল ‘আদম’ সিনেমার সেন্সর সনদপত্র বাতিল ও প্রদর্শন বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং তথ্য সচিব বরাবর আবেদন করেন জামিল হাসান। ওই আবেদনের পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এই রিট আবেদন করা হলো।

মন্ত্রণালয়ে করা ওই আবেদনে বলা হয়, আসন্ন ঈদুল ফিতরে মুক্তির জন্য গত ২ এপ্রিল ‘আদম’ নামের বাংলা সিনেমার ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে। একজন সচেতন ও শিক্ষিত নাগরিক হিসেবে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ নানা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই সিনেমার ট্রেলার এবং নেটিজেনদের মন্তব্য দেখেছি। পাশাপাশি ওই সিনেমার বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট পড়ে জানতে পারি ২০২২ সালে এটি নির্মিত হয়েছে।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড গত ১৯ নভেম্বর সিনেমাটি প্রদর্শনের জন্য সেন্সর সনদপত্র/ছাড়পত্র দেয়। সিনেমাটির ট্রেলার ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাতে জানা যায়, সিনেমার গল্পে আদম নামে একটি ছেলের সঙ্গে কামিনী নামের একটি মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সিনেমার ট্রেলারে দেখা যায়, মুসলিম সমাজে ফতোয়াকে উসকে দেওয়া হয়েছে। গ্রাম্য বিচার কামিনীকে মাটিতে পুঁতে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলার ফতোয়া দেন ইমাম সাহেব। হিন্দু পুরোহিত কামিনীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার সিদ্ধান্ত দেন। বৌদ্ধ ধর্ম প্রধান জীব হত্যা মহাপাপ এবং খ্রিস্টান যাজক অনাগত সন্তানকে পৃথিবীর আলোয় আনতে মতামত দেন।

আবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ মুসলিম এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বী। কিন্তু সিনেমাটিতে মুসলিম, হিন্দু ও অন্য ধর্মকে পাশাপাশি রেখে ধর্মীয় উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজানের পর ঈদুল ফিতরে এই ধরনের ধর্মীয় উসকানিমূলক সিনেমা মুক্তি হলে জনগণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে। এরই মধ্যে ফেসবুক এবং ইউটিউবেও অনেক নেটিজেন সিনেমাটির বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের মানুষ নিজ নিজ ধর্মের ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে আগ্রহী। সিনেমাটিতে একই সঙ্গে ইসলাম ও হিন্দু ধর্মের মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো সংলাপ ও দৃশ্য রয়েছে মর্মে প্রতীয়মান হয়, যা আমাদের সংবিধানের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ অবস্থায় এই সিনেমার সেন্সর সনদপত্র/ছাড়পত্র বাতিল করে প্রদর্শন ও প্রচার বন্ধ করা প্রয়োজন।

আইনজীবী ইসমাঈল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় ও সেন্সর আপিল কর্তৃপক্ষ ‘আদম’ সিনেমার সেন্সর সনদ বাতিল ও প্রচার-প্রদর্শন বন্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করেছি।

সর্বশেষ - সারাদেশ